চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল সহ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা হত্যার প্রতিবাদে বাড়বকুন্ড এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজানের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গত মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা, ককটেল বিষ্ফারণ ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সীতাকুন্ড থানায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনর নেতাকর্মীদের এবং পৌরসভায় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত ১৯২ জন এবং ১৪ শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকেরাও পুলিশের ভয়ে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন।
পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার (৩১ আগস্ট) এসব মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদ সীতাকুন্ডে উপজেলার বাড়বকুন্ড এলাকায় ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মাঃ শাহাজানের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোঃ শাহাজান। এ সময় তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরী কারাগারে থাকলেও তার সংসদীয় আসনে সীতাকুন্ডে নেতা কর্মীরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তাদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটবে। সমাবেশে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে জনদুর্ভাগ সৃষ্টি, ভাঙচুর ও ককটেল বিষ্ফারণ করেছে উল্লেখ করে পুলিশ দুটি মামলা দায়র করেছে।
এছাড়া একই দিন বিকাল পৌরসদর সীতাকুন্ড ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং ককটল বিষ্ফারণ ঘটনায় উল্লেখ করে আরা দুটি মামলা দায়ের করা হয়। সীতাকুন্ড উপজেলা যুবদলের সভাপতি ফজলুল করিম চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন। তিনি আরো বলেন, সীতাকুন্ডে অতীতেও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা নেই এমন কোন নেতাকর্মী খোঁজে পাওয়া যাবেনা। সুতরাং মামলা হামলা করে জনগণের অধিকার আদায়ের গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমাতে পারবে না।
সীতাকুন্ড মডল থানার ইন্সপক্টর (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, প্রতি মামলায় সুনির্দ্বিষ্ট ৪৮জন করে ১৯২ এবং প্রায় ১৪ শত অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এজাহার ভুক্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।