নরসিংদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মানিক মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামির ফাঁসির দাবীতে আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় বাদি-বিবাদি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
কমিশনার মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নরসিংদী পৌর সভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালত প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০০১ সালের ২ জানুয়ারি রাতে ভেলানগর এলাকায় প্রকাশ্যে খুন হয়।
এঘটনায় নিহতের ভাই আমির হোসেন আমু বাদী হয়ে নরসিংদীর পৌরসভার সদ্য বিদায়ী সাবেক মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আলোচিত-সমালোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার স্বামী সুমন ওরফে মতি সুমন সহ ১০ জনের নামে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নানা ঘাত প্রতিঘাত ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলাটিকে স্থগিত করে রাখা হয়।
পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রায় ২১ বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি সদ্য বিদায়ী নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
দীর্ঘদিনেও কমিশনার মানিক হত্যার খুনিদের বিচার না হওয়া ফুসে উঠেছে নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এরই প্রেক্ষিতে আজ সহ¯্রাধিক মানিক সমর্থক ও স্বজনরা আদালত পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন ও বিভিন্ন শ্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় অভিযুক্ত কামরুলের ফাঁসির দাবী জানানো হয়।
নিহত মানিক কমিশনারের ভাই ও মামলার বাদী আমির ইসলাম আমু বলেন, কামরুল শুধু মাত্র আমার ভাইকেই হত্যা করেনি,সে কুলসুম নামে একটি মেয়েকে ধর্ষনের পর জীবন্তু পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সে ডাকাতি মামালায় আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীও প্রদান করেছে। এত অপরাধ করার পরও শুধু মাত্র কালো টাকার জোর আর ক্ষমতা খাটিয়ে সে বার বার বেঁচে যাচ্ছে। আমু কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো বলেন,আমার ভাই আওয়ামী লীগের দূর্রদিনের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিলেন। পরিতাপের বিষয় হলো চাঞ্চল্যকর এই হত্যার বিচার আমার ২১ বছরেও পাইনি।