কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন অষ্টগ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মামুন (২৩) গত রোববার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইওয়ে সড়কে মামুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-তে কল করে জানান। ৯৯৯ এর সহযোগীতায় দাউদকান্দি থানা পুলিশ মামুনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন বাড়িতে। মামুনের শরীরে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ মামুনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা অষ্টগ্রামে পৌঁছালে পরিবারের লোকজনের আত্মচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। মামুনের মা ছেলের শোকে বার বার মুর্চা যাচ্ছে। অচেতন হয়ে পড়ে আছে সন্তান সম্ভব্য স্ত্রী।
ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সাকের হোসেন জানান, মামুন এক সপ্তাহ আগে তাদের পাশ্ববর্তী কালা মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিনের সাথে কুমিল্লার আলেখাচর একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করতে বাড়ি থেকে বের হয়। তবে কিভাবে কেন কারা তাকে হত্যা করেছে এখনো তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক গৌবিন্দ দাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।