দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন ৭দিন বন্ধ থাকার পর আবার কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে উৎপাদন চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে খনিতে ৩০০ চীনা ও ১৩৭ জন দেশি শ্রমিক কাজ করছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চীনারা ডে শিফটে ৭১৫.৪৯৩ মে.টন এবং গত রোববার ৯৩১.১৪২ মে.টন কয়লা উত্তোলন করেছেন। পূর্ণ উৎপাদনে যেতে আরও ১০ থেকে ১৫ লাগতে পারে বলে তিনি আশাবাব্যক্ত করেন।
গত ২৯ জুলাই খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসির ৫০ জন চাইনিজ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তিনশ শ্রমিককে ছুটি দিয়ে খনি ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ২৭ এপ্রিল থেকে খনি ভূ-গর্ভে ১৩১০ নম্বর কোল ফেইসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ ছিল। প্রায় তিন মাস পর জ¦ালানি সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় খনির ১৩০৬ নম্বর ফেইস থেকে গত ২৭ জুলাই পরীক্ষামুলকভাবে কয়লা উৎপাদন শুরু করা হয়। গত তিনদিনে ৫ হাজার মে.টন কয়লা উত্তোলন করে।