ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান বুধবার সকাল ১০ টায় কলেজে প্রবেশ করেন এবং নিজ কক্ষে বসে বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় তার কার্যালয়ের সামনে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এস আই জাকারিয়া মাসুদের নেতৃত্বে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ডিজি এবং সচিবের অনুমতি সাপেক্ষে আজ কলেজে এসেছি। এ কলেজের বেশ কিছু ছাত্রের সাথে থাকা কয়েকজন অছাত্র আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমার নিকট কাগজপত্র দেখতে চাই। তারা আমার অধ্যক্ষ পদের বৈধতা নিনয়ে প্রশ্ন করে এবং আমাকে কলেজ থেকে চলে যেতে বলে। তার পরপরই ৫ টি ককটেল ফোটার বিকট শব্দ শুনতে পাই আমি ও আমার কক্ষে উপস্থিত শিক্ষকরা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন ও কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রহিম মোল্ল্যাকে আমি ফোন করি। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ না করায় আমি ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই জাকারিয়া মাসুদ জানান,অধ্যক্ষ স্যার ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ করলেও তিনি আলামত দেখাতে পারেননি। আমরাও কলেজচত্বরের কোথাও ককটেল বিস্ফোরণের কোনো আলামত খুজে পায়নি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রহিম মোল্ল্যা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফোনে কলেজের ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে কলেজের গেটে অবস্থান নেয়। কলেজ অধ্যাপকের কোনো ফোন আমি পাইনি।তাছাড়া ককটেল বিস্ফোরণের মতো কোনো ঘটনাও এখানে ঘটেনি।