দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সেরাজুল ইসলাম নবাব (৪০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে মারা যান। সে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চিনা সিএমসির এক্সএমসির অধিনে কয়লা উৎপাদনের কাজ করতো। নবাব পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের ঘুঘুমারি বর্ণমালা গ্রামের রাহেরুল হকের ছেলে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, তাঁর কোনো অসুখ ছিল না। অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে তাদের কাজ করতে হয়, কাজ শেষে টিনের ঘরে থাকতে হয়, এতে করে অনেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গত ২জুন খনির কোয়ারেন্টাইনে ৭দিন থাকার পর ১২জুন কাজে যোগ দেন। গত বুধবার রাত ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার শিফটের কাজ শেষ করে তার রুমে আসার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, এ সময় তার সহকর্মিরা সেরাজুলকে খনির অভ্যান্তরের হাসপাতালে নিয়ে গেল সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।
খনি শ্রমিকরা অভিযোগ করেন-গত ১০ জলাই পরিবারের সদস্যদের রেখে খনিতেই ঈদ করতে হয়েছে। সারাদেশে স্বাভাবিক ভাবে সকল অফিস আদালত চললেও, শুধু খনি কর্তৃপক্ষ খনিতে লকডাউন করে রেখেছে, যার কারণে শ্রমিকরা মাসের পর মাস পরিবার পরিজনকে ছেড়ে খনির ভিতরে টিনের ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে খনিতে কাজ করতে হচ্ছে, এতে তারা প্রায় সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ, ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন খনিতে এক শ্রমিক সেরাজুল ইসলামের মৃত্যুর হয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হামদুল্লাহ বলেন, কয়েক দিন হলো প্রচন্ড গরম। দিনে তাপমাত্রা খুব বেশি। গরমে ও রোদে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে এবং টান্ডা স্থানে থাকতে হবে। গরমে বাইরে বেরোলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরতে হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক শ্রমিক হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।