ভোলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দৌলতখান উপজেলার ৩ জনের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। ভোলা জেলায় মোট ৫৫ জনের আবেদনসহ ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। তারা অনলাইনে আবেদনের সময় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়াসহ তথ্য গোপন করেন। অনেকের কাক্সিক্ষত যোগ্যতা ছিল না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাস করেন তিন হাজার ৩৭৩ জন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে উত্তীর্ণদের যোগ্যতার মূল সনদপত্রসহ ২৯ জুনের মধ্যে সশরীরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য বলা হয়। আর এ সময় ৫৫ জনের অনিয়মের তথ্য প্রকাশ পায়। এদের তালিকা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাতিল হওয়াদের মধ্যে দৌলতখানের মোঃ নুরউদ্দিন রোল নম্বর: ৭১২১৪৯২ পাসের সনদে স্নাতকে ২য় বিভাগ নাই, মোঃ সাইফুল ইসলাম রোল নম্বর: ৭১২২৮১৭ ফাজিল পাসের সনদে ২য় বিভাগ নাই, মোঃ মিরাজ রোল নম্বর: ৭১২৩৪৬৭ পাসের সনদে স্নাতকে ২য় বিভাগ না থাকায় তাদের ৩ জনের ফলাফল বাতিল করা হয়েছে। পাসের সনদে স্নাতকে দ্বিতীয় বিভাগ না থাকায় ভোলা সদরে বাতিল হয়েছে ২জনের। তাদের স্নাতক পাশের সনদে দ্বিতীয় বিভাগ ছিল না। বোরহানউদ্দিনে বাতিল হয়েছে ১২ জন। তজুমদ্দিন উপজেলায় বাতিল হয়েছে ১০ জন। লালমোহন উপজেলায় ১৩ জন। জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, অনলাইনে আবেদন করায় এসব প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। মৌখিক পরীক্ষার আগে সনদ যাচাইয়ে তাদের তথ্য গোপনের জালিয়াতি ধরা পড়ে। তবে এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেবল আবেদন বাতিল করা হয়েছে।