জামালপুরের মেলান্দহে শ্যামপুর-কাজাইকাটা-টুপকারচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন বন্ধ হয়নি। এতে কৃষি জমি-বসতি নদীতে বিলীন হতে চলেছে। ক্ষতিগ্রস্থ ও ভূক্তভোগি কৃষকরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিছুদিন আগে ডেফলা ব্রিজের পাশ থেকে ড্রেজার দিয়ে ক্রমাগত বালি উত্তোলন করা হচ্ছিল। এতে ডেফলা ব্রিজ, জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক, বসতবাড়ি এবং আবাদি জমি হুমকীতে পড়ে যায়। কিছুদিন আগে এ-সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হবার পর ড্রেজার মেশিন পুড়িয়ে দেয় প্রশাসন। কিছুদিন বালি উত্তোলন বন্ধও থাকে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন নতুন করে শুরু করেছে। ডেফলা ব্রিজ থেকে একটু দূরে কাজাইকাটা-শ্যামপুর-টুপকারচর এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের কয়েকটি স্পটে গায়ের জোরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে বালি খেকু আবু তারেক।
এতে এলাকার চাষীদের ফসলি জমি-বসতি এবং নদী পাড়ের ভূমিহীনদের গুচ্ছ গ্রামও হুমকীর মুখে পড়েছে। অভিযোগকারি কৃষক নূর মোহাম্মদ জানান-৩০ জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছি না। ইতোপূর্বেও আরো অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পাবার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিঞা জানান-বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। এলাকাবাসীর সহযোগিতা পেলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারব।