দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিছানায় পড়ে থাকা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব প্রভাত চন্দ্র সরকারকে হুইল চেয়ার দিয়েছেন শিল্পপতি সমাজসেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত।
শনিবার দুপুর একটার দিকে আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় আনন্দ কুমার গুপ্ত ব্যক্তিগতভাবে প্রভাত চন্দ্র সরকারকে একটি হুইল চেয়ার তুলে দেন।
এ সময় আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক প্লাবন শুভ, সম্পাদক সোহেল রানা, সদস্য হায়দার আলী, মিঠুন দত্ত, জাকিরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, শাহরিয়ার আসিফ দিনার, স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল আলম শেখ, প্রভাত চন্দ্রের স্ত্রী শংকরি রানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে পরিবারের সাথে বসবাস করেন প্রভাত চন্দ্র সরকার ও শংকরি রানী দম্পতি। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জানা যায়, প্রভাত চন্দ্র সরকার ফুলবাড়ী পৌর কালীবাড়ী বাজারে গুড়ের ব্যবসা করতেন। গত ৩ বছর পূর্বে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তার শরীরের বাম দিকটা পুরোপুরি অবস ও অচল হয়ে যায়। পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। কথাবার্তাও বলতে না পারলেও ইশারা- ইঙ্গিত করেন কোন কিছুর বিষয়ে। দিনেরাতে বিছানাতেই শুয়ে শুয়ে কাটে তার সময়। অভাবের সংসারে হুইল চেয়ার কেনার মতো সামর্থ্য না থাকায় বসার সুযোগটুকু ছিল না তার। এখন হুইল চেয়ার পেয়ে তাতেই বসেছেন তিনি।
প্রভাত চন্দ্র সরকারের সহধর্মিণী শংকরি রানী সরকার বলেন, অভাবের সংসারে দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিছানায় পড়ে আছেন স্বামী। একটি হুইল চেয়ারের জন্য তিন বছর ধরে এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানের পেছনে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ সহযোগিতা করেনি। ভোটের সময় আমার স্বামীকে বাড়ী থেকে রিকশাভ্যানে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা। কিন্তু ভোট শেষে তাকে আর কেউ বাড়ী পৌঁছে দেয়নি। যারা হুইল চেয়ার দিয়ে আমার স্বামীকে সহায়তা দিয়েছেন, তাদেরকে যেন ভগবান ভালো রাখেন।
শিল্পপতি সমাজসেবক আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, আমরা করব জয় সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাত চন্দ্র সরকারের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে একটি হুইল চেয়ার দেওয়ার সিদ্ধন্ত অনুযায়ী তাকে হুইল চেয়ার দেওয়া হয়েছে। এটা দিয়ে কিছুটা হলেও তার উপকার হবে। তিনি এখন হুইল চেয়ারে বসছেন। আগামীতেও দুস্থ মানুষের কল্যাণে সহায়তা দেওয়া হবে।