মুন্সীগঞ্জের প্রান্তিক আলুচাষীরা পর পর দুই বছর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় জমিতে এবং গোলায় রাখা আলুতে পঁচন ধরায় কৃষক এবারও আর্থিক ভাবে লোকসান গুনছে।জমিতে আলু পঁচছে,কাংখিত দও না পাওয়ায় বিক্রিও করতে পারছে না।আবাদের শুরুতে দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক চরম দুশ্চিন্তায় পরেছে।পরপর দুবছর লোকসানে পরে কৃষকরা এখন দিশেহারা।দুশ্চিন্তা ভর করেছে আগামীতে ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে।আবাদের শুরুতে ঘূর্ণীঝড় জওয়াদের প্রভাবে জমিতে চাষ বিলম্বিত হওয়ায় ফলন কম এবং উৎপাদন খরচবৃদ্বি পাওয়ায় কৃষক চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার৯ শত হেক্টও জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ হাজার ১ শত হেক্টর কম। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জসদরে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর, টংগীবাড়ীতে ৯ হাজার ৫ শত হেক্টর, শ্রীনগরে ২ হাজার হ্ক্টের, সিরাজদিখানে ৯ হাজার ১৫১হেক্টর, লৌহজেং ৩ হাজার ৩৬০হেক্টরএবং গজারিয়ায় ২ হাজার ১০৫ হেক্টরজমিতে আলুআবাদ হয়।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরাহয়েছিল ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার মেট্রিকটন। ঘূর্ণীঝড় জওয়াদের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে ফলন কম হওয়ায় উৎপাদনহয়েছে ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৮০ মেট্রিকটন যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিকটনকম।কৃষক প্রতিবছর লোকসানের মুখে পরে আলুচাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্ষুদ্র প্রান্তিক আলুচাষীরা আগামীতে আলু চাষের বিকল্প চাষাবাদের চিন্তাভাবনা করছে তারা।
মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আলু।এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিক ঝুকি নিয়ে আলুচাষ করে। প্রতিবছর চাষীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও লাভের আশায় এবং দীর্ঘ্যদিনের ধারাবাহিকতায় আলু আবাদ মৌসুমে আবার সক্রীয় হয়ে উঠে।
মুন্সীগঞ্জ সদও উপজেলার ধলাগাঁওবাজারের আলু ব্যবসায়ী মোঃফিরোজ দেওয়ান বলেন, গত আলু মৌসুমে জমিতে আলুবিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাইনি।এবার ন্যায্য মূল্য পাবার আাশয় অনেক কষ্ট এবং দার-দেনা করে বৃষ্টির পূর্বে দুইকানি জমিতে আল ুলাগিয়েছিলাম। ঘূর্ণীঝড় আমার সব শেষ করে দিয়েছে।নতুনকওে আলু আবাদে খরচ অনেক বেড়ে যায়। আলুবিক্রি করতে না পারায় হিমাগারে রেখে দিয়েছি। হোগলাকান্দি গ্রামের বাচ্চুমিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,প্রায় ৫ একর জমিতে আলুচাষ করেছিলাম।প্রায় দেড়লক্ষ টাকা লোকসানতো হয়েছেই সাথে কলেজ পড়-য়া মেয়েকেও হারিয়েছি।আলুবিক্রি করতেনা পেওে জমিতে স্তুপাকারে নাড়াদিয়ে ঢেকে রাখি। সেইআলু দেখতে গিয়ে সর্প দংর্শনে মেয়ে মাহমুদা আক্তারের মৃত্যু হয়।তিনি বলেন,প্রতিমনে খরচ প্রায়সাড়ে ৫ শত টাকা সেখানে বাজার দর মাত্র সাড়ে তিনশত থেকে চারশত টাকা।আগামীতে আলুচাষ ছেড়ে দিবো। আলুব্যবসায়ী জামালশেখ জানান, আলুজমিতে কীটনাশকের সাথে দ্রƒত বর্ধনশীলঔষধছিটানোহয়।এসব আল ুপচে যাওয়ায় দেশীয়পদ্বতিতে সংরক্ষন করা যায়না হিমাগারে রাখতে হয়। আলু ব্যবসাযী পলাশ বেপারীজানান, উত্তরাঞ্চরের আলু আগে উঠে যাওয়ায় সেখানকার আলুদিয়ে জেলার হিমাগারের ৬০ শতাংশ পুর্ণ হয়ে যায়।এ কারণে এ অঞ্চলের কৃষকের সব আলু হিমাগাওে রাখা যায়না।জেলার ৬৮টি হিমাগারেপ্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিকটন আলুসংরক্ষন করাহয়।চলতি মৌসুমে হিমাগারের ভাড়াও বৃদ্বি করা হয়েছে।মোল্লাকান্দি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন আলুবিক্রি করতে নাপারায় জমিতে রাখি। সে আলু পচে যাওয়ায় এ বছর প্রায় এক লক্ষটাকা লোকসানহবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ - পরিচালক মোঃখুরশীদ আলম জানান, এখানকার কৃষক প্রধানত ডায়মন্ড জাতের আলুচাষ করে।এজাতের আলু দীর্ঘদিন সংরক্ষন করা যায়না।কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কাার্ডিনাল আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়।এজাতের আলু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চিপিস তৈরী করা যায় সংরক্ষনও করাযায় দীর্ঘদিন।আল ুজরুরীভিত্তিতে রফতানীকরা এবংএর বহুবিধ ব্যবহার প্রয়োজন।