দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেতে ৪ প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ ও লবিং-তদবির শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন। হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও হয়ে উঠেছে প্রার্থীদের সরব প্রচারণায়।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে গতবারের নির্বাচনে পরাজিত নৌকা মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়নের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে জেলা আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে তা উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার মনোনয়নের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়নের নামের সাথে প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের জ্যেষ্ঠ পুত্র যুবলীগ নেতা প্রভাষক আনোয়ার হোসেন রানা, সাবেক ছাত্রনেতা নিউ পাকেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রফিকুল ইসলাম এবং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাসের নাম পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, গত নির্বাচনে মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় স্বল্প ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীক হেরেছে। তারপরেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসে ছিল না। সকলকে সাথে নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপির নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন এবং করোনাভাইরাস মহামারীসহ বিভিন্ন দূর্যোগ ও বিপদ-আপদে মানুষের পাশে ছিলাম। সেই হিসেবে আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবেন। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে এবার শতভাগ আশাবাদী বলে জানান তিনি।
সাবেক ছাত্রনেতা নিউ পাকেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও কাজ করেছি। দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয়লাভ করতে সকল নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কাজ করব।
আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাস বলেন, উপজেলা পরিষদ গঠনের পর হতে খানসামা উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি। তবে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান যুবলীগের নেতা হিসেবে আমাকে বাবার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের সুযোগদানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মূল্যায়িত করবেন। নৌকার মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
উল্লেখ্য যে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়াও এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দুই বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মরহুম উপজেলা চেয়ারম্যান আবু হাতেমের শ্যালক এবং খানসামা উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আকবর আলীর ছেলে বিগত ৫ বছর পূর্বে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সহিদুজ্জামান শাহ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শরিফুল আলম প্রধান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আব্বাস আরেফিন আহমেদ।