৯ মাসের বকেয়া বেতন ভাতাদির দাবীতে দিনাজপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অনার্স ক্লাশের শিক্ষকরা অধ্যক্ষকে তার কার্যালয়ে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে। শিক্ষকদের বেতন ভাতাদী পরিশোধ না করা পর্যন্ত অনার্স শিক্ষক পরিষদ তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দেন।
এদিকে, অন্যের ইন্ধনে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এধরনের আন্দোলন তাদের, বললেন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কলেজের ৬১জন শিক্ষক দিনাজপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমানের কাছে করোনাকালিনসহ ৯ মাসের বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশোধের দাবীতে তাকে অফিস রুমে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
৯ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবীতে দিনাজপুর আদর্শ কলেজ অনার্স শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে এ আন্দোলন শুরু করেন তারা।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আন্দোলনরত সংগঠনের সভাপতি শহিদুল্লাহ সাফি, সা:সম্পাদক মো: জসিম উদ্দীন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আজাদ আলী জানান, কলেজ ফান্ডে অর্থ থাকার পরেও অধ্যক্ষ আমাদের পাওনা বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। এ বিষয়ে তার সাথে একাধিক সময়ে আলোচনা করেছি কিন্তু তিনি কোনো না কোনোভাবে পাশ কাটিয়ে যান, তাই আজ আমরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছি।
অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান শিক্ষকদের বেতনভাতা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার জানান, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পাওনা পরিশোধের চেষ্টা চালাচ্ছি। এ বিষয়ে গর্ভনিং বোর্ডির সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট বেতনের চেক স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছিলো সামান্য ভুল থাকায় তিনি স্বাক্ষর করেননি। তবে চেকটি ত্রুটি সংশোধন সাপেক্ষে বেতন পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা করছি। আজকালের মধ্যে ৪ মাসের বকেয়া দেয়া হচ্ছে। ঈদের আগে আরও একমাসের দেয়ার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বকেয়া সব বেতনভাতা দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, তারা অন্য কারো ইন্ধনে এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্টে এ আন্দোলন করা হচ্ছে।