ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানার বারবাজার ইউনিয়নের খুলনা কুষ্টিয়া মহাসড়ক সংলগ্ন অবস্থিত বারবাজার হাইওয়ে থানা। যশোর চাঁচড়া চেকপোস্ট হতে ঝিনাইদহের হামদহ এবং যশোর নিউ মার্কেট হতে সিমেখালী আড়পাড়া পর্যন্ত বারবাজার হাইওয়ে থানার অর্ন্তগত বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন এর নেতৃত্বে অত্র অঞ্চলের মহাসড়কে নিরাপদ করতে কঠোরভাবে রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। থানার সামনে চেকপোস্টে নিয়মিত ভাবে চেক করা হচ্ছে মহাসড়কে গাড়ি চালানোর যে সকল প্রতি বিধান রয়েছে সে গুলো সঠিক ভাবে মেনে গাড়ি চালানো হচ্ছে কিনা। হাইওয়েতে যেকোনো ধরনের গাড়ি চালানোর নিয়মনীতি রয়েছে সেটি অমান্য করলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা।
২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি বারবাজার হাইওয়ে থানায় জানুয়ারি মাসে মোট মামলার সংখ্যা ২৮২ টি। এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে ৩২ টি, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ২ টি, ওভারস্পীড এর জন্য ১৮ টি, থ্রি হুইলার এর জন্য ১১২ টি, হেলমেট বিহীন এবং বাইকে তিন যাত্রী বহনের জন্য ১১৭ টি, পিকআপের লোক বহন ও ডিজে ডান্স এর জন্য ৯২ টি মামলা দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে মামলা দেওয়া হয় ২১৬ টি। উপরিউক্ত ক্যাটাগরির যথাক্রমে অনুসারে, ১১ টি, ২ টি, ৪৬ টি, ৪৭টি, ৯৪টি ও ১৬ টি। অনুরূপভাবে মার্চ মাসে মামলা দেওয়া হয় ২৩৯ টি। যথাক্রমে ৪৬ টি,৫ টি, ৯ টি, ৬০ টি, ১১৯ টি ও ৫ টি।
সর্বশেষ চলতি এপ্রিল মাসে ৮ তারিখ পর্যন্ত মামলার সংখ্যা হলো ৭৮ টি।হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে যে সকল থ্রি হুইলার যান মহাসড়কে চলাচল করছে বারবাজার হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত কার্যাবলীর অংশ হিসেবে সেইসব যানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছে। মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে ২৪ ঘন্টাই হাইওয়ে থানার ১ টি টিম বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।
বারোবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেজবাহ উদ্দিন জানান, চলমান রোজা ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কে নিরাপদ রাখতে আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।মহাসড়ক থেকে যেনো কেউ কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে না পারে চাঁদাবাজি, ছিনতাই,ডাকাতি ও মাসিক চাঁদা আদায় না করতে পারে সে বিষয়ে বারবাজার হাইওয়ে থানায় জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছি। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে কোন ধরনের যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মহাসড়কে নিরাপদ রাখার জন্য। রমজান উপলক্ষে মানুষের গমনাগমনের সুবিধার্থে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত মহাসড়কে কোনো গাড়ি থামানো হচ্ছে না।