দুই সপ্তাহ বন্ধের পর গত রোববার (২৭ মার্চ) থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করা হয়েছে দেশের একমাত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকে। কঠিন শিলা প্রকল্পে পাথর উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক দ্রব্যের (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) অভাবে চলতি মাসের ১২ মার্চ সকাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু ইতোমধ্যে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক দ্রব্যের (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) সরবরাহ করায় খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) পাথর উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে খনির উৎপাদন ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়ে জিটিসি কিন্তু পাথর উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক দ্রব্য এর (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) অভাবে চলতি মাসের ১২ মার্চ সকাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয় খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
সূত্র মতে বিস্ফোরক দ্রব্য এর (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) সরবরাহ করার দায়িত্ব থাকলেও সময় মতো তা সরবরাহ না করায় খনির উৎপাদন বন্ধ করে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এসময মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লি. (এমজিএমসিএল) জানান, কভিড-১৯ পরিস্থিতি ও সম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সময় মতো বিস্ফরক দ্রব্য আমদানি করা সম্ভাব হয়নি, তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খনিতে বিস্ফরক দ্রব্য সরবরাহ করা হবে। তারই আলোকে শনিবার (২৬ মার্চ) খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) বিস্ফোরক দ্রব্য সরবরাহ করলে রোববার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) পাথর উত্তোলন শুরু করে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিঃ (এমজিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মুহাম্মদ ফরিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, রোববার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে মধ্যপাড়া খনি থেকে পুণরায় পাথর উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।