দরিদ্র ও হতদরিদ্র মুমুর্ষ রোগীদের জীবন বাচাতে দিনাজপুর ব্লাড ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ২বছর যাবত বিনামুল্যে মুমুর্ষ রোগীদের রক্তদান করে আসছেন। এরইমধ্যে প্রায় ১৫০০ মুমুর্ষ রোগীকে বিনামুল্যে রক্ত প্রদান করা হয়েছে।
রক্তের প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য তাদের আরেকটি সংগঠন রয়েছে যার নাম অনলাইন “দিনাজপুরের খবরাখবর”। এই অনলাইন পেজে মুমুর্ষ রোগীর স্বজনরা রক্ত আহবান করলেই ব্লাড ফাউন্ডেশনের সদস্যরা রক্ত দেয়ার জন্য ওই রোগীর কাছে হাজির হয়ে যান।
ওই সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন বিপ্লব ২৩বার ও মারুফ বেগম ৬বার রক্তদানসহ গ্রুপের প্রতিটি সদস্যই রক্তদান করেছেন। জেলার ১৩ উপজেলায় ১৫০০ মুমুর্ষ রোগীকে বিনামুল্যে রক্তদান করা হয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দিনাজপুরের মানুষ।
শুক্রবার যারা ৬ থেকে ২৩ বার রক্তদান করেছেন এমন ৯৫জন রক্তদান স্বেচ্ছাসেবীকে ক্রেস্ট দিয়ে উৎসাহিত করা হয়।
শুক্রবার দিনাজপুর নাট্য সমিতি মিলনায়তনে অনলাইন দিনাজপুরের খবরাখবর ও স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ দিনাজপুর ব্লাড ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচিন চাকমা। এর আগে আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচিন চাকমা মুমুর্ষ রোগীদের জীবন বাচাতে যারা রক্ত দান করেন তাদের মত মহৎ ব্যক্তি আর নেই উল্লেখ করে বলেন, রক্ত দান হলো সবচেয়ে বড় দান। দিনাজপুর ব্লাড ফাউন্ডেশনের রক্ত দান এ কর্মসুচীর ফলে শত শত মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। মৃত্যুর হার কমবে। শিশুরা সহায়তা পাবে। অনলাইনে বিনামুল্যে রক্তের গ্রুপ প্রদানের উদ্যোগ এটাই প্রথম।
সাংবাদিক শাহারিয়ার শহিদ মাহবুব হিরুর সভাপতিত্বে ও অনলাইন দিনাজপুরের খবরাখবর ও স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ ব্লাড ফাউন্ডেশনের মডারেটর লুবনা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ দিজেন্দ্র চন্দ্র বর্মন, দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সংস্থার সভাপতি জিয়াউর রহমান নওশাদ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের জোনাল ম্যানেজার মোঃ হামিদুর ইসলাম, ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু, সাধারন সম্পাদক আবির হোসেন বিপ্লব, সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম রাজু জানান, দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলা নিয়ে তাদের এই অনলাইন ‘দিনাজপুর ব্লাড ফাউন্ডেশন’।