ফরিদপুরের সালথায় রিজু মিয়া (৩৫) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে সালথা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কসবা গট্টি গ্রামে ফসলি জমির মাঠে পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রিজু মিয়া কবসা গট্টি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু মিয়া ছেলে। তার বয়স ৩৫ বছর হলেও তিনি অবিবাহিত ও মাদকসেবী ছিলেন বলে স্থানীরা জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাবলু মিয়া চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান কয়েক বছর আগে। এরমধ্যে বড় দুই ভাই বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। আর বোনও বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। রিজু মিয়া তার ছোট ভাই মিজু মিয়াকে নিয়ে বাড়িতে একটি টিনের ঘরে বসবাস করতেন। তারা নিজেরাই রান্না করে খেতেন। রিজু মাঝে মাঝে বাসে হেলপারি করতো। সেখান থেকে সে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসাও করানো হলেও মাদকের থাবা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে পারিনি।
এলাকাবাসী বলেন, যেই পেঁয়াজ ক্ষেতের ভিতর রিজুর লাশ পাওয়া গেছে তার পাশেই একটি কলাগাছের বাগান রয়েছে। প্রতিদিন রাতে রিজু স্থানীয় কয়েকজন মাদক সেবিকে নিয়ে ওই বাগানে মাদক সেবন করতো। ধারনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মাদক সেবন করার ফলে হার্ট অ্যাটাক করে পেঁয়াজের ক্ষেতের মধ্যে মরে ছিল রিজু। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রিজুর ছোট ভাই মিজু মিয়া বলেন, আমরা দুই ভাই একই ঘরে ঘুমাইতাম। মাঝে মাঝেই সে মাদক সেবন করতে রাতে ঘর থেকে বের হতেন। সোমবার রাত ৯টার দিকেও সে ঘর থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। মঙ্গলবার সকালে খবর পাই যে আমাদের গ্রামের আলামিন শেখের বাড়ির পাশে একটি পেঁয়াজ ক্ষেতে বড় ভাই রিজুর লাশ পড়ে আছে। আমাদের ধারনা সে মাদক সেবন করে বাড়ি ফেরার পথে স্টোক করে মরে পড়ে ছিল। তাছাড়া এলাকায় আমাদের কোনো শত্রু নেই যে, তারা আমার ভাইকে মেরে ফেলবে।
সালথা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. মারুফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রিজুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আশার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারলাম যে, রিজু মিয়া নিয়মিত মাদক সেবী ছিলেন।