হালদা নদীর অংকুরীঘোনা এলাকায় চেংখালী খালের সুইস গেইট ধসে পড়েছে। এতে করে নদীর বেড়ি বাঁধের জনচলাচলের সড়কটি স্হান বিশেষে দেবে গিয়ে যান ও জলচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।
জানা যায় হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়ন ও রাউজান পৌরসভার গহিরা অংকুরীঘোনা বড়ুয়া পাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে হালদা নদীর বেড়িবাঁধের চেংখালী স্লুইসগেট সম্প্রতি ধসে পড়ায় গড়দুয়ারা-অংকুরীঘোনা সড়কটি দেবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হালদার জোয়ারের পানিতে স্লুইসগেটসহ নদীতে বিলীন হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে জনচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধসে পড়া স্লুইসগেট টি স্হানীয়দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা থাকায় স্থানীয়রা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন। প্রয়োজনমত পানির ব্যবহার করতে পারেন কৃষকরা। জোয়ারের সময় নিম্নাঞ্চলে কখনো পানি উঠা কিংবা জলবদ্ধতা হয়নি। সড়কটিও হালদার থাবা থেকে রক্ষা পেয়েছে বারবার। কিন্তু এ ধসের কারণে বিভিন্ন দিক দিয়ে স্থানীয়রা ক্ষতির সম্মুখিন হবে। সড়কটি তলিয়ে গেলে অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের এই সড়কে সহজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাব। পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পাড়ের কৃষকের জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবে। চাঁন মিয়া সারাং বাড়ির মৃত আলি আহমদের পুত্র কৃষক মোঃ ইয়াকুব (৫০), একই বাড়ির মৃত নাজিম উদ্দিনের পুত্র কৃষক আবদুল কাদের (৬৫) জানান, ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের পশ্চিমাংশে তাদের কৃষিজমি রয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তাদের জমির চাষাবাদ ব্যহত হবে। এতে এলাকার কৃষিজীবিদের কৃষি কাজ ব্যাহত তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। স্হানীয় ইয়াকুব নামে এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, স্লুইসগেট কিংবা সড়কটি দুদিনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। মাসখানিক আগে থেকেই ছোট ছোট ফাটল দেখা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা অনেকে এসে পরিদর্শন করে ক্যামরায় ছবি তুলে সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি যার প্রতিফল আজকের এ দৃশ্য।শুরুতেই যদি সংস্কারের উদ্যোগ নিতেন তাহলে এত বড় ক্ষতি দেখতে হত না। তিনি বলেন এ সড়ক তলিয়ে গেলে জোয়ারের পানির কারণে গেইট সংলগ্ন একটি নূরানী মাদরাসার পাঠ বন্ধ হবে। যেখানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হবে মেখল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। তারা স্লুইসগেটসহ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে গনমাধ্যম কর্মীদের পক্ষ থেকে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সংস্কারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার শুরু করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।