প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রথম ধাপে আজকের বৈঠকে ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানায় রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি।
আজ প্রথমার্ধে প্রথম দফার এই বৈঠকে ২০ জনের মধ্যে ১৪ বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও এম কে রহমান, আইনজীবী শাহদীন মালিক, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ এবং ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) সভাপতি মুনিরা খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন এখনো উপস্থিত হননি।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সার্চ কমিটিকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। তাদের হাতে চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের খোঁজে আইন অনুযায়ী কাজ করছে কমিটি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। পরদিন ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ওইদিন রাতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে আইনে বর্ণিত যোগ্যতা অনুযায়ী যোগ্য ১০ জন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে এটি তৃতীয় সার্চ কমিটি। তবে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের পর প্রথম সার্চ কমিটি। এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি হয়েছিল। দুবারই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে সার্চ কমিটি গঠন হয়। এবার নতুন আইনের অধীনে সার্চ কমিটি হলেও গতবারের কাঠামোকেই অনুসরণ করা হয়েছে। কারণ আইনের বিধানে সেই কাঠামোই রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিদায় নিচ্ছে।