প্রকৃতির ষড় ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যেমনি প্রকৃতির রুপ বদলায়,তেমনি বদলায় ফসলের মাঠ।দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাঠ জুড়ে শুধুই হলুদ আর হলুদ,যেন সমস্ত মাঠজুড়ে হলুদ চাঁদরে ঢাকা পরেছে। শীতের শিশির সিক্ত মাঠভরা সরিষা ফুলের গন্ধ বাতাসে ভাসছে। এখন শুধু দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে।সরিষা চাষিদের নিকট থেকে জানা যায়,বছর জুড়ে ভোজ্য তেলের দফায় দফায় মুল্য বৃদ্ধি হওয়াতে কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহ হয়েছে। সরিষা বিক্রয় করে ও সরিষা ঘানিতে ভেঙ্গে বছর জুড়ে খাওয়ার পরিকল্পনায় এবারে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে,বিশেষ করে নদী বিধৌত এলাকায়। কার্তিক-অগ্রাহায়ন মাসে দু একটা চাষ বা বিনা চাষেই জমিতে ছিটিয়ে সরিষা বীজ বপন করা হয়।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলায় এ বছর ১১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর চাষ হয়েছিলো ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। গতবারের তুলনায় এবারে ৩৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমিতে মধু আহরনের জন্য চাষিরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেল,বীজ ও মধুর পাশাপাশি কৃষকেরা উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী ঘোড়াঘাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। ঘোড়াঘাট পৌর সদরসহ উপজেলার ১নংবুলাকীপুর ইউনিয়ন,২নং পালশা ইউনিয়নও ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের মাঠ ঢাকা পড়েছে হলুদের বিছানায়। উপজেলা কৃষি অফিসার এখলাস হোসেন সরকার বলেন,উপজেলার সকল প্রান্তিক চাষীদের প্রনোদনা প্যাকেজে বিনামুল্যে সরিষার বীজ,সার ও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সরিষা চাষে খরচ কম হওয়ায় চাষীরা লাভবান হতে পারে। সরিষা থেকে ভালোমানের তেল ও গোখাদ্যের খৈল ও সার পাওয়া যায়।