নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উচ্চ পুষ্ঠিমান সমৃদ্ধ ও সারাবিশ্বে সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত চিয়া এবং কেনুয়ার চাষ শুরু করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের শাহাজান আলী নামের এক কৃষক এ চাষাবাদ শুরু করেছেন।
দেখা যায় তিনি নিজ এলাকা মাস্টারপাড়ায় নিজের ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন কেনুয়া ও চিয়া চাষ। যা ইতোমধ্যে ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র বলছে, কেনুয়া অত্যন্ত উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন খাবার। এক কাপ কেনুয়ায় ৮ থেকে ১০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও কেনুয়া হচ্ছে একমাত্র উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উৎস, যাতে ৯ ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড উপস্থিত আছে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পাশাপাশি চিয়া সীডের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমানে পুষ্টিগুন। ভিটামিন-সি আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টিগুন থাকায় এটি বিশ্বের সুপার ফুডের ১ম তালিকায় রাখা হয়েছে। এসব খাদ্য অধিক পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ায় মহাকাশযানের নভোচারিরা এ খাদ্য গ্রহন করে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এছাড়াও অপুষ্টি ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তির দুয়ার খুলে দিতে পারে এ ফসল।
কৃষক শাহাজান আলী জানান, আমি এ চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে পেয়ে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রথমে বীজ সংগ্রহ করি। তারপর পরিক্ষামুলকভাবে ২০ শতাংশ জমিতে এটি চাষ করি। আমার এ চাষ দেখে প্রথমে স্থানীয় চাষিরা হাসি ঠাট্রা করলেও পরে তারা এর দাম ও গুনাবলি জেনে তারাও এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তবে বিক্রি করব কিভাবে কারা কিনবে এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, পুষ্টিপরিপুরক আর অধিক মান সম্পন্ন হওয়ায় বহির্বিশ্বে এর চাহিদা অনেক বেশি। আশা করি আমাদের দেশে যদি এটি চাষ হয় তাহলে আমাদের দেশের পুষ্টিঅভাব দূর হবে। যেহেতু এ চাষাবাদ প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং ৩ মাসেই ঘরে তোলা সম্ভব তাই আমরা সামনে যেন এ চাষের পরিধি বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, যেহেতু এ খাদ্য বা চাষাবাদ বাংলাদেশে নেই বললেই চলে খুব কম তবে বিভিন্ন সুপার সপে এর চাহিদা রয়েছে এটি কিভাবে বাজারজাতকরনণ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা যোগাযোগ করছি।