ফরিদপুর শহরের আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে নবজাতক প্রসব করাতে গিয়ে শিশুর কপাল কেটে ফেলেছে নার্স ও আয়া। এই ঘটনায় কন্যা শিশুটির পিতা বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় চার জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত আরো দশ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় প্রশাসন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষনা করেছে।
শনিবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতেই প্রসূতি মায়ের পেট থেকে নবজাতক বের করতে গিয়ে নবজাতক কন্যা শিশুটির কপালের একটি অংশ কেটে ফেলের ঘটনা ঘটে। এতে তোড়পাড় সৃষ্টি হয় শহর জুড়ে।
এ দিকে শনিবার রাতেই নবজাতকের পিতা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের শফিক খান বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় চার জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অঞ্জাত নামা আরো দশ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, কর্তব্য কাজে অবহেলা, বিশ্বাস ভঙ্গ, ভূয়া নার্স সেজে প্রত্যারণা ও অবৈধভাবে অর্থ আদায়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি (প্রশাসন ও তদন্ত) গফ্ফার হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত এজাহার নামা দুই জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি (চায়না বেগম নামের ওই নার্স এবং হাসপাতালের পরিচালক জাকারিয়া রহমান মোল্লা পলাশ)। অন্যান্যের ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আল-মদিনা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষনা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা ওই প্রতিষ্টানের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছি, সেখানে অনেক অনিয়ম পেয়েছি। এছাড়াও ইতঃপূর্বে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। যে কারণে আমরা এই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।