নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রনসহ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৩ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে নানা ধরণের বিধিনিষেধ জারি করেছে বাংলাদেশের সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। আন্তমন্ত্রনালয় সভার সিদ্ধান্ত দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা এবং সামগ্রীক বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ হয়।
অথচ সরকারি এই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে মানুষ তার নিত্যদিনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার কালীগঞ্জে সাপ্তাহিক হাটের দিন। সকাল থেকেই এইসব হাটবাজারে মানুষের ব্যাপক সমাগম লক্ষ করা যায়। যেখানে ছিল না কোনো সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ মানুষের মুখেই ছিলনা মাস্ক। গণপরিবহন ও শহরের মধ্যে চলাচলকারী যান গুলোতোও মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আর এম ও) মাজহারুল ইসলাম জানান,সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ মেনেই কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন পর ১২ জানুয়ারি একজন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। যিনি আমাদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের অমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর উপসর্গ নিয়ে অনেকেই হাসপাতালে আসছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশের করোনা টেস্ট করার প্রতি অনীহা রয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহনের প্রতি মানুষের অনেক আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন ২ থেকে ৪ হাজার মানুষ হাসপাতলে আসছেন করোনার টিকা নিতে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মাস্ক পরতে অনিচ্ছুক। তাদের ভাষ্য," টিকা দিচ্ছি যখন তবে মাস্ক কেন পরবো? আমরা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীকে করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময় যথা উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাষ্টিয়া জেরিন জানান, সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ সম্পর্কে কালীগঞ্জ উপজেলাবাসীকে জানাতে মাইক এর মাধ্যমে প্রচারনা চালানো হয়েছে। এখন আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রতি পালনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।