কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ আশেপাশের কয়েকটি ইট ভাটার মধ্যে হাওর থেকে শত শত কৃষকের জমি হতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার কারণে পাশ^বর্তী কৃষকদের জমির উর্বরা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে বলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদিকে দিনের বেলায় ট্রাক্টর ও লরি দিয়ে হাওর থেকে মাটি আনা নেওয়ার ফলে আগত শতশত সিএনজি ও অটো বাইকে যাত্রীরা এসব ট্রাকের যেন নাক মুখ বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসন এদিকে কোন খেয়াল রাখছেন না বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অন্যদিকে এই ভেকু দিয়ে মাটি কেটে লরি দিয়ে আনার ফলে কৃষকের যে বোরো ফসল প্রতি একর ৮০-৯০ মন ধান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, সেখানে ইট ভাটার ধোয়ার কারণে হাজার হাজার একর জমিতে প্রতি একরে ৫০-৬০ মন ধানের ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। ইট ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। এর ফলে কুর্শাসহ ৮-১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মতে কারো সর্দি কার্শি সহ এই ধোয়ায় কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিকলী উপজেলা এসি ল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রীতিলতা বর্মন এই প্রতিবেদক কে বলেন, ইট ভাটার ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি যারা কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন।