কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনার সুত্রপাত হলে পুরো পৌর সদর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ এবং নান্দাইলগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘন্টা ব্যাপি যানজট সৃষ্টি হয় আঞ্চলিক মহা সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যপী চলা এ সংঘর্ষে প্রায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ্ উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকছুদ উদ্দিন ও ২ জন সাংবাদিকসহ ৫০ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। একজনের অবস্থা গুরুতর তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পেরণ করা হয়েছে।
জেলা শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ সহ শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছিলাম, হঠাৎ করে সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন বহিরাগতদের আমাদের উপর হামলা করে, এতে করে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা সহ অনেকেই আহত হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজন্তী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফুল দিতে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েক জনকে আহত করা হয়েছে, উপজেলার কোষাকান্দা গ্রামের শিরাজুল হকের ছেলে মিন্টুর অবস্থা গুরুতর তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পেরণ করা হয়েছে। আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে ফুল দিয়ে এসেছি।
পরে সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পৌর সদরের মরুরা বাজার সংলগ্নে একটি (কিশোরগঞ্জ- ব ১১০০৬৭) অনন্যা পরিবহন বাসে আগুন জ¦ালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারওয়ার জাহান জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।