কিশোরগঞ্জের সদর ইউনিয়ন ও পাশর্^বর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষকের জমি থেকে ভেকু দিয়ে ৩-৪ টি ইটখলার মধ্যে মাটি নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে কৃষকের শত শত একর জমি ভেকু দিয়ে ইট খলার মধ্যে মাটি নেওয়ার ফলে যেমন জমির উর্বরতা শক্তি কমছে, অন্যদিকে এসব ইটখলায় ইট পুড়নোর ফলে এসব দূষিত ধোঁয়ায় নিকলী সদরের ৮-১০টি গ্রামের গাছপালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাঁপানি, সর্দি, কাঁশি সহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এসব ইটখলার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছে না যুগ যুগ ধরে। এদিকে ইট খলার ধোঁয়ায় জমির ধানী ফসল, আম, জাম, লিচু, নারিকেল সহ বিভিন্ন ফসল একবারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিকলী সদর ও পাশর্^বর্তী ইউনিয়ন গুলোর পরিবেশ একেবারে দূষিত হয়ে পড়ছে বলে এলাকাবাসীদের মন্তব্যের শেষ নেই। অন্যদিকে যে জমিতে ইরি বোরো ধান ৮০-৯০ মন হতো সেই জমিতে এখন বর্তমানে ৫০-৬০ মন দর একর প্রতি ধান হবে বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। নিকলী সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতিলতা বর্মন এই প্রতিবেদককে বলেন, ইটখলার ধোঁয়ায় যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি ভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভেকু দিয়ে জমি থেকে মাটি কাটলে অবশ্যই আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন।