১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর প্রথম চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন চালু হয়। ১৫৯ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মত রেল দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রাণালয়। সোমবার রেলদিবস উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
রোববার (১৪ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞত্তিতে নিউজ কাভারেজের কথা জানানো হয়। একান্ত এক সাক্ষাতকারে রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার বলেন, প্রত্যেকেরই ইতিহাস জানার প্রয়োজন। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে না জানলে সামনে আগানো সম্ভব নয়। দেশে যত প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে রেল ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে রেল চলে গেছে সেখানে রেলকেন্দ্রিক জীবন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। রেল সামাজিক বিবর্তন এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।
রেল সচিব মো. সেলিম রেজা জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় রেল সেক্টরকে পশ্চিমারা অনেক ক্ষতি করেছিল। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু ক্ষতিগ্রস্ত রেল পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন,রেলের প্রতি বিভিন্ন সরকারের ভুল নীতির কারণে রেল আজ এত পিছিয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী রেলের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তাই আজ রেলখাত এগিয়ে যাচ্ছে। রেলওয়ের উন্নয়ণে অনেক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় রেলের উন্নয়নের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।