আগামীকাল ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে পীরগঞ্জের প্রার্থীরা শেষ মুহুর্তের প্রচারণা শেষ করেছেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিস, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আগামীকাল ১১ নভেম্বর পীরগঞ্জের ১০ টি ইউনিয়নে ৯৯ ভোট কেন্দ্রের ৫৭০ টি বুথে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩’শ ২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৭ হাজার ৪’শ ৪৩ জন ও মহিলা ৯৭ হাজার ৮’শ ৫৯ জন। ওইসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪ জন, ইউপি সদস্য পদে ৪২২ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৬ জনসহ মোট ৬০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বদ্বীতা করছেন। উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আগামীকাল নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের বাবলু মন্ডল বলেন, ভোট নিরপেক্ষ হলে আমি বিজয়ী হবো। কারণ গতবারের নির্বাচনে আমি মাত্র ১ ভোটে পরাজিত হয়েছি। এবারে ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। পীরগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসন জানায়, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ১৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশের ২ জন সহকারী পুলিশ সুপারসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি র্যাব, এপিবিএন সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নেই টহল দেবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, ভোট গ্রহনের জন্য আমরা প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছি। ভোট গ্রহনে নিয়োজিতরা যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, সেজন্য প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, এই নির্বাচনে আমরা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পাঁচগাছি ইউনিয়নের আমোদপুর বটতলা মহাবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রকে চিহ্নিত করেছি। আর সবগুলো ভোট কেন্দ্রেকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স চলে যাবে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ, ফলাফল প্রদান এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সুতরাং আইনশৃঙ্খলার বিঘœ ঘটালে আমরা তা কঠোর হস্তে দমন করবো।