দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতো এক প্রতারক। অবশেষে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আটক করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের নামে আমলা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পপতিসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করতো মোহাম্মদ শরীফ মিয়া নামে এক ব্যাক্তি। প্রতারক শরীফের নামে প্রতিদিন এ ধরনের একাধিক অভিযোগ পাচ্ছে পুলিশ।
কালীগঞ্জ হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শামীমা শিরীন লুবনা কর্মরত থাকা অবস্থায় সরকারি টাকা অর্থ আত্মসাতের সংবাদ পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তার বিরুদ্ধে। এ সংবাদ প্রকাশিত হলে ময়মনসিংহ জেলার গফরগা উপজেলার পরশিপাড়া গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে শরীফ মিয়া দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ডাক্তার লুবনার কাছে ফোন করে। ফোনে জানানো হয় আমি খুলনা দূনীতি দমন কমিশন অফিসার বলছি। আপনার নামে আমাদের দুদক অফিসে মামলা হয়েছে ও চাকরি চোলে যাবে মর্মে হুমকি দেয়। টাকা দেবার পরে মামলা খারিজ করে দিবে বলে জানানো হয়। অবশেষে ডাক্তার শামীমা শিরীন নিজের আত্মসস্মানের ভয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা রকেট, বিকাশ,নগদ নাম্বানে তিন কিস্তিতে টাকা প্রদান করে। এক পর্যায় লুবনার স্বামী ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফী বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় অঞ্জাত ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ২৮/৯/২০২১ ইং তারিখে। মামলায় বলা হয় ০১৭২৬-১৭২৭৩০ নস্বর মোবাইল ফোন থেকে ডাক্তার লুবনার কাছে দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করেন (০১৭৩৪-১০০০৭০) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে। টাকা পাঠানো হয় ০১৭১৯-৭৯৬২৭১ এই ফোন নাম্বারে। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর নাম্বার ২টি বন্ধ পেলে ডাক্তার লুবনার সন্ধেহ হয় ও খুলনা দুদকে খোঁজ নিয়ে দেখেন তার বিরুদ্ধে কোন কিছুই হয়নি এবং দুদক কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। একপর্যায়ে ডাক্তার লুবনার স্বামী কাফী বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
কালীগঞ্জ থানার এসআই জাকারিয়া মাসুদ জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬ নভেম্বর একদল সংগিয় ফোর্স নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও উপজেলার পড়শিপাড়া গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে শরীফ মিয়া কে ৭৭ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এভাবে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়ে আসছিল মোটা অংকের টাকা।