সীতাকু-ে ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রাইভেট কারে এক দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ বলছে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় সীতাকু- পৌরসভাস্থ সোবাহানবাগ এলাকায় ফারুকুল ইসলাম তার ভাগ্নীর বিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের উদ্দেশ্য স্ত্রী, মা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, নিজের দুই ছেলে-মেয়ে এবং ছোট ভাই কামরুলের মেয়ে সহ সীতাকু- পৌরসভাস্থ নুনাছড়া গ্রামের বাড়ি থেকে প্রাইভেট কারে রওনা দিলে বারৈয়ারঢালার নিটকস্থ ইউটান দিয়ে অতিক্রম করার পূর্বে ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পার্শে গোপনে অবস্থান নেওয়া ৫ সদস্যের ডাকাত দল তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারের সামনের চাকায় লোহার রড় নিক্ষেপ করে। রড়টি দ্বিতীয় চাকায় লেগে প্রাইভেট কার থেমে গেলে এ সময় অন্ধকারে ডাকাত দল তাদের ঘিরে ধরে। তারা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত ডাকাত দল কোন কথা বলবি না, কি আছে বের কর ঘটনাটি বুঝে উঠার পূর্বেই ফারুকুল ইসলামের ডান হাতে রামদা দিয়ে কোপ দেয় এবং গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকাতদের ২ জন শার্টের কলার ধরে জিম্মি করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। গাড়িতে থাকা ৩ বাচ্চার কান্না, নিজের স্ত্রী, ছোট ভাই কামরুলের স্ত্রী এবং বয়োবৃদ্ধা মায়ের কান্নায় ফারুকুল ইসলাম মানসিক ভাবে মারাত্মক ভেঙ্গে পড়েন। ডাকাতরা তাদের সাথে থাকা ৯ ভরি স্বর্ণালংকার যার আনুমানিক মূল্যে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা, নগদ ১৭ হাজার টাকা ও সাথে থাকা ২ টি মোবাইল সেট অস্ত্রের মুখে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি তার ছোট ভাই কামরুলকে জানালে সে পুলিশকে অবহিত করে। তারা বিয়ের প্রােগ্রাম বাতিল করে চিকিৎসার জন্য সীতাকু- স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থানকালীন সময়ে পুলিশ আসলে তারা সংঘঠিত ডাকাতির ঘটনাটি বিস্তারিত বিবরণ জানায়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে সীতাকু- থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে সীতাকু- থানার ওসি তদন্ত সুমন বণিক বলেন, আমরা অভিযোগ এখনো পাইনি তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।