টিকা থেকে বঞ্চিত ভৈরবে নদীর অববাহিকায় ৭টি গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে নদীর পাড়ে দূরগম ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই গ্রামের বাসিন্দারা টিকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবী করেছেন। তারা বলছে টিকা নিতে আগ্রহী কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক বা রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলায় পিছিয়ে রয়েছে। তাদের রয়েছে সুশিক্ষার অভাব আবার কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে অনাগ্রহ। এতে ঝুকিঁতে রয়েছে বঞ্চিত ৭টি গ্রামের মানুষ।
জানাযায়,ভৈরবের ৭টি ইউনিয়নের ১টি হলো আগানগর ইউনিয়ন। এই আগানগর ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম শ্যামপুর, ছাতিয়ান তলা, ডিকচর, টুক চাঁনপুর, পুরানচর, চর পাড়া ও উত্তর বনসহ ৭টি গ্রামের বাসিন্দারা করোনার টিকা কেউ নেয়নি। এই গ্রামগুলি মেঘনা নদীর অববাহিকায় চর অঞ্চলে অবস্থিত। তাদের সুশিক্ষার অভাব রয়েছে। তারা বলছে রেজিস্ট্রেন জটিলতা অথবা আইডি কার্ড নিয়ে টিকা দিতে বিরম্বনা মনে করছে।
এছাড়া এদের কারো কারো মতে বিশেষ ব্যবস্থায় নিজ নিজ গ্রামে বাড়ি বাড়ি টিকার ব্যবস্থা করলে সহজ হতো ও উপকৃত হতো। এ ছাড়া গ্রামের মানুষ মনে করছে শহরের জন্য এই টিকা গ্রামের মানুষের জন্য নয়। অচীরেই জরুরী ভিত্তিতে তাদের টিকার আওতায় আনার দাবী সাধারণ মানুষের।
শ্যামপুর গ্রামের মো: ধন মিয়া জানান,দূগম চরাঞ্চল ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদেরকে করোনার টিকা দিয়ে তাদের জীবন যাত্রায় স্বাভাবিক কার্যকর্মে অংশগ্রহণ করার সুযোগ,দেওয়ার আহববান।
ছাতিয়ান তলার গ্রামের বাসিন্দা রমেস চন্দ্র বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ সবাই মাছ ধরে,আমরা গরীব মানুষ এ ছাড়া আমরা আনেক কিছু বুঝিনা।
ভৈরব উপজেলা আগানগর ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান মোঃ মোমতাজ উদ্দিন বলেন মেঘনা নদীর তীরে আমার এলাকার ৭টি গ্রাম রয়েছে। তারা সুবিধা বঞ্চিত সব সময়। এই ৭টি গ্রামকে করোনার মহামারীর হাত থেকে টিকা প্রদান করার আহ্বান জানান।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা জানান, যে ৭টি গ্রাম করোনার টিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় অতি তাড়াতাড়ি টিকা প্রদান করা হবে।