কিশোরগঞ্জের ষোলমারাসহ ১১ টি বধ্যভূমিতে ১১টি স্মৃতিসোধ নির্মাণ হতে যাচ্ছে। স্মৃতিসোধগুলি হবে একই ডিজাইনের এবং প্রত্যেক স্মৃতিসোধের প্রস্তর ফলকে সেখানে শহীদদের নাম খোদাই করে লেখা থাকবে। সম্প্রতি সদর উপজেলার শোলমারা বধ্যভূমি স্মৃতিসোধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. মোঃ জিল্লুর রহমান। এ সময় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহাদুর আলী,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো:আসাদ উল্লাহ,সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাগুফতা হক উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাহাদুর আলী জানান,সদর উপজেলার শোলমারা বধ্যভূমিতে জেলা পরিষদ নির্মিত একটি পুরনো স্মৃতিসোধ ছিলো। সেটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর সহায়তায় অপসারণ করে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে নতুন ডিজাইনের স্মৃতিসোধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। জেলার প্রস্তাবিত ১১ টি স্মৃতিসোধ একই ডিজাইনের হবে এবং প্রত্যেকটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লক্ষ টাকা। প্রত্যেকটি স্মৃতিসোধে সেখানে শহীদদের নাম লেখা থাকবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শহীদদের নামের তালিকা করা হবে। আপাতত শোলমারা ও হোসেনপুরের কুড়িঘাট এলাকার বধ্যভূমিতে কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ টি স্মৃতিসোধের জন্য টেন্ডার হয়েছে। বাকি গুলি এখনো স্থান নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাহাদুর আলী।
মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল হক সাদী বলেন, “শোলমারা বধ্যভূমি গোচারণে পরিণত এখনও শহীদদের আত্মা পানিতে ভেসে বেড়ায়,কর্তৃপক্ষের নজর নেই” এ শিরোনামে একটি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এসএম সুলতান আহমেদ তাৎক্ষনিকভাবে জেলা পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং স্থানটি সংরক্ষিত করে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করার সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। পরে জেলা পরিষদের তৎকালীন সচিব শাহনেওয়াজ দিলরুবা খানমের তত্ত্বাবধানে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্বটি নির্মিত হয়। বর্তমানে সেটি অপসারণ আধুনকায়ন করে নতুন করে নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।