দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মেহেরপর-কুষ্টিয়া সড়কের গাড়াডোব থেকে বামন্দী পর্যন্ত অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি জনগনের ভোগান্তি লাঘবে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পোড়াপাড়া,গাংনী হাসপাতাল বাজার,মহিলা কলেজ মোড়,আখসেন্টারপাড়া চেংগাড়া বাজার,জোড়পুকুর বাজার সহ বিভিন্ন স্থনে অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে
বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কগুলো খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল উল্টে পঙ্গগুত্ববরণ করেছে অনেকেই। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ওই রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে।
ট্রাক চালক জামিরুল ইসলাম বলেন,মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের কুষ্টিয়া জেলার সড়ক চলাচলেল কিছুটা উপযুগি হলেও মেহেরপুর অংশের রাস্তার এতটাই খারাপ যে তারা পচনশীল সবজি সহ অন্যান্য পন্য পরিবহনে দূর্ভোগ পোহাতে। প্রায় প্রতিনিয়ত ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহন বিকল হয়ে যায়।
অটোবাইক চালক হাসেম আলী বলেন,দীর্ঘ চার বছর সড়ক সংস্কার না হওয়ার কারণে বিশেষ করে গাড়াডোব থেকে বামন্দী পর্যন্ত চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙ্গাচোরা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার গর্তে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়।
ভ্যানচালক তহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য বেশি মাল নেওয়া যায় না। এ ছাড়া ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।
মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক প্রশস্ত করনের জন্য বৃহস্পতিবার অথবা আগামী রবিারের মধ্যে টেন্ডার হবে। টেন্ডার হলে আশা করি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কাজ শুরু হবে। এরপরও যেখানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় ইটবালি দিলে চলাচলের উপযুগি করে রাখা হয়েছে।