একটি পৌরসভা সহ ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে কুলিয়ারচর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। এই কমপ্øেক্সটি প্রায় ২ লক্ষ লোক এই উপজেলায় বসবাস করে। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় লোকবল দিয়ে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গত ২০১৮ সন হতে। যেখানে ডাক্তার ১৬ জনের প্রয়োজন সেখানে বর্তমানে ৮ জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালনা করতে গিয়ে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া কনসালট্যান্ট ৪ জনের জায়গায় ১ জন, সুইপার ৫ জনের জায়গায় ২ জন, ফার্মাসিস্ট পদটি শূণ্য রয়েছে, ২ জন সেকমোরের মধ্যে ১ জন আছে। এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। জানা যায়, ৫০ শয্যা হাসপাতাল থাকলেও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী জনগণের যেভাবে সেবা করা উচিত সেভাবে হচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূত্র হতে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুলিয়ারচর হাসপাতালে সরেজমিন গেলে রোগীরা জানান, এখানে খাবারের মান খুবই নি¤œমানের। সবই যেন কাগজে কলমে ভাল খাবার পরিবেশন কর্তৃপক্ষ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন জনগণকে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা স্বাস্থ্য বিহীন ভাবে করোনার টিকা দিচ্ছেন। যদিও সরকার বারবার বলছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত জনগণরা টিকা নিতে মাস্ক পরিধান না করে অবাধে করোনার টিকা নিচ্ছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুলিয়ারচর উপজেলা প: প: ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর খসরু এই প্রতিবেদককে জানান, লোকবলের অভাবের মধ্য দিয়েই তাকে কঠিন পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।