কালীগঞ্জে বারবাজার বাসষ্টান্ডে কড়াই গাছ দীর্ঘদিন মরে গিয়ে মারাতœক ঝুকির মধ্যে পড়েছে পথচারীরা। বারবাজার বাসষ্টান্ডের পাশে মৃত ঝুকিপূর্ণ কড়াই গাছটি যেন মরন ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেকোন সময় ঘটতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বাসস্টান্ড এলাকার জামে মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত যশোর,খুলনা, ঢাকা,রাজশাহি,মেহেরপুর, কুষ্টিয়ানহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যাত্রীবাহি যানবাহন থামিয়ে যাত্রি উঠানামা করানো হয়। গাছটি ঝুকি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মৃত ও শুকনা গাছটি যে কোন সময় উপড়ে বা ভেঙ্গে পড়লে যানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ফলে শহরসহ এই মহাসড়কের ঝুকিপূর্ণ গাছ অপসরণের জোর দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ ক্রেতারা সব সময় ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। না জানি কখন মৃত গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এই গাছ ভেঙ্গে পড়লে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়বে ও ব্যবসার ক্ষতি হবে। তাছাড়া এখানে একটি মসজিদ আছে। মসজিদে প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্তে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে। আর বাসস্টান্ড তো আছেই। মৃত গাছ ভেঙ্গে পড়লে সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হবে। এর আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্ব অবহেলার কারণে কালীগঞ্জ শহরের বৈশাখী মোড়ে রাজু টি ষ্টোরের উপর কড়াই গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লেও বিদ্যুৎ ও ডিসের তারের কারণে অল্পের জন্য বেচে যায় ৪/৫ টি তাজা প্রান।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শহরের নতুন বাজারে কেনাকাটা করতে এসে কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা আবদুর রউফের স্ত্রী ফাহমিদা খাতুনের মাথার উপর শুকনা ডাল ভেঙ্গে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিল। এরই দু’বছর আগে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের গেটের সন্মুখে বাসার ছাদের উপর ডাল পড়ে বলিদাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নিহত হয়। এভাবে প্রায়ই শুকনো ডাল পড়ে প্রতিদিনই কোন না কোন সড়কের পথচারীরা আহত হয়ে থাকে।