ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ। শুরু হচ্ছে হিন্দুদের বড় উৎসব দূর্গাপূজা। ষষ্ঠি বোধনের মধ্য দিয়ে পূজা আর্চনার কাজ শুরু করবেন পূজারীরা। ঝিনাইদহ জেলায় এবার ৪৫২টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে ব্যপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ ও জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট’র পক্ষ থেকে।
এ বছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১০৪টি, শৈলকুপায় ১২২টি, কালীগঞ্জে ৯৭টি, কোটচাঁদপুরে ৫১টি, মহেশপুরে ৪৬টি এবং হরিণাকুন্ডুতে ৩২টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হবে পূজা।
জেলা আইনশৃঙ্খলা ও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার পূজা মন্ডপ রাখতে হবে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা, নারী-পুরুষ আলাদা প্রবেশদ্বার, মাদকমুক্ত পরিবেশ, মসজিদের পাশে মন্ডপ হলে ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রেখে আযান ও নামাজের সময় গান-বাজনা বন্ধ রাখতে হবে এবং পূজা মন্ডপ কেন্দ্রিক কোন মেলার মাঠ বসবে না। এবছর মন্ডপ গুলোতে স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল থাকবে। অন্যবারের মত আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক মন্ডপে থেকে দায়িত্বপালন করবে না। পুলিশের গাড়িতে করে টহল দিবে মন্ডপে সার্বক্ষনিক সময়।
ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের উপপরিচালক (জেলা কমান্ড্যান্ট) আশিকুজ্জামান জানান, এবার আনসার সদস্যরা টহল টিম হিসাবে (স্বসস্ত্র) কাজ করবে। আমরা দুইটা ভাগে টহল টিমকে ভাগ করেছি। একটি সাধারণ টহল টিম ও অন্যটি কুইক রেসপন্স টিম। মোট ৬৮৯ জন আনসার সদস্য জেলার ৬টি উপজেলায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় কাজ করবে।
পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন মন্ডপ ভিত্তিক পরিদর্শন করবে পুলিশের কর্মকর্তারা। তাদের গঠিত স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, এবার জেলায় ৪৫২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা মন্ডপে মেলার মাঠ বসবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি, ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরাও সেই ভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি।