কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যলয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নিকট থেকে ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার আঠাত্তর টাকার প্রাক্কলিত মূল্যের দরপত্র প্রদানে বাধা ও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত সোমবার বিকেল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পি.এস (ভিপি ইকবাল)। সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় সালুয়া ব্রহ্মপুত্র নদী খননের কুলিয়ারচরের একটি অংশে বালি ও মাটি ইজারা দাখিল নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটে। জানাযায়, এ দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ঐ দিন। নির্ধারিত সময়ের আগেই সিডিউল জমা দিতে নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে যেতে চাইলে মহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধারিকে বাধা প্রদান করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াসিন মিয়ার সহযোগীতায় দরপত্র বাক্সে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পি.এস ইকবাল হোসেন দরপত্র দাখিল করতে গেলে কতিপয় দ্ষ্কুৃতিকারীরা তার কাছ থেকে দরপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। উক্ত বাধা ও ছিন্তায়ের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগকারী ইকবাল হোসেন। অভিযোগকারী ইকবাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তার সি.সি ক্যামেরার ফোটেজ সংরক্ষণ করে এর বিচার দাবী জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানাযায় সালুয়া ইউনিয়নের একটি নদী খননে বালি ও মাটি ইজারার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস। উক্ত বালির ইজারার মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৮ টাকা। প্রথম দুই দফায় আশানরুপ কোন ফল আসেনি। পুনরায় তৃতীয় বারের মত টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এদফায় তিনটি সিডিউল বিক্রী করা হয়। এর মধ্যে রতন এন্টারপ্রাইজ, রহিমা এন্টারপ্রাইজ ও চাদনী এন্টারপ্রাইজ সিডিউল ক্রয় করেছেন। অফিস সূত্রে আরো জানাযায়, যে সিডিউল জমার নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে রতন এন্টারপ্রাইজের ডিসিউল দাখিল হয়েছে। অপরদিকে মহিমা এন্টারপ্রাইজের সিডিউল দাখিলে বাধা প্রদানের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বলেন, দরপত্রের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াসির মিয়া বলেন, মহিমা এন্টারপ্রাইজের মোঃ রেনু মিয়াকে দরপত্র দাখিলে বাধা দেওয়ার পর তিনি আমার বাসায় আসলে আমার পি.এস কে দিয়ে দরপত্র দাখিল করতে পাঠালে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। চেয়ারম্যান বলেন, কুলিয়ারচরে এমন ঘটনা আসলে খুবই নেক্কার জনক বলে উল্লেখ করেন।