চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন বলেছেন, জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের সঙ্গে দেশের বাস্তবতার মিল আছে কি-না তা আমার জানা নেই। ডিসি সাহেব যে কাজ করছেন তা নীতিবহির্ভূত। রোববার বেলা ১২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা বৈধভাবেই এখানে অবস্থান করছি। দলিলমূলে এখানে আছি। ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলা আইনজীবী সমিতির নামে যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি আইনজীবী সমিতির মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। আইনজীবী সমিতির ভবনসমূহ যথাযথভাবে অনুমোদিত নয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলা হচ্ছে। পরীর পাহাড় এলাকায় সিডিএ কোনও ভবনের অনুমোদন দেওয়ার পূর্বে যেন জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয় বলেও মন্তব্য করেছেন ডিসি। যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন যাতে নির্মাণ হতে না পারে, সেজন্যই জেলা প্রশাসন থেকে এমন ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির স্থাপনাসমূহকে উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গত ২ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। অথচ কোর্ট বিল্ডিং এর চারপাশে সমিতির কোনও অবৈধ স্থাপনা নাই। কোনও ছাত্রাবাসও নাই। দোকানপাট, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, বস্তি ইত্যাদি স্থাপনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক লিজ প্রদানকৃত ও কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক ভাড়ায় লাগানো হয়েছে। যা থেকে তারা মাসিক ও দৈনিক ভাড়া উত্তোলন করে। আইনজীবী ভবন সংলগ্ন রাস্তার বৈদ্যুতিক পোল, ব্রিজ ইত্যাদিতে এখনও প্রশাসনের সিসিটিভি ক্যামেরা বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ১২৮ বৎসরের একটি পেশাজীবী সংগঠন। সমিতির ভবনসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত। এ ছাড়া ভবনগুলো সিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনতোষ বড়-য়া ও আবদুর রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।