নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা সাহেব আজকে বড় বড় কথা বলছেন। আর আমাকে বলেন; আমি সারাদেশে বিতর্কিত। শরম যদি লাগে গো ঘোমটা দিয়ে চল গো। ব্যারিস্টার সুমন সে নাকি আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। সে একজন ওসির বিরুদ্ধে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়ায় মামলা দিয়েছে। সে (সুমন) কী করে যুবলীগ করে? আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলবো ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানকে জাতীয় শ্লোগান করা হোক।
শনিবার বেলা ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বড়ভাই সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। কিন্তু সেটা না দিলেও ঘরে ঘরে মামলা দিয়েছেন। আপনার স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন। সে আমাকে হত্যার জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, নোয়াখালীর একরাম চৌধুরী হচ্ছে দুর্নীতির আসল হোতা। সে গোটা নোয়াখালীকে জিম্মী করে নানা অপরাধ করছে। কারা নোয়াখালীতে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি করছে আপনারা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করে লিখুন। আপনারা জাতির বিবেক। যারা নোয়াখালীতে অপরাজনীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আজীবন লড়াই করবো। দুনীতির সাথে আমি কখনো আপস করবোনা। আগামী শনিবার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ৮টি ইউনিয়নে সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক ইউনুছসহ অঙ্গসংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের তৃণমুল নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির (জাপা) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে মারধরের অভিযোগ এনে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ জাপার দুই এমপি কাদের মির্জার বিচার দাবি করেন। এ সময় কাদের মির্জাকে তারা অবাঞ্ছিত লোক বলেও অভিযোগ করেন। এরই প্রতিবাদে শনিবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সাংবাদিক সম্মেলনে উপর্যুক্ত বক্তব্য রাখেন।