কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চরম লো-ভোল্টেজ আর ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রাহকরা। লোড শেডিং এর ভেলিকিবাজিতে রিতিমতো অতিষ্টও হয়ে পেড়েছে তারা। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও নাগেশ্বরীতে যেনো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগেশ্বরী জোনাল অফিসরে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমানের উদাসীনতা আর তার অফিসের অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করছেন গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ অফিস কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসীনতার কারণেই হচ্ছে এমন লোড শেডিং।
সাপখাওয়া বাজারের আল-আমিন জানায় তিনি লেদের কাজ করেন। কিন্তু বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ আর লোড শেডিং-এ অতিষ্টি হয়েছেন। কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না। সানোয়ারা খাতুন জানায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে তার শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি। বিদ্যুৎ চলে গেছে আর আসার নাম থাকে না। চরম গরমে সারারাত তার শিশু কান্না করেন।
আনোয়ার হোসেন নামের এক স্টুডিওর মালিক জানায় তিনি কম্পিউটারে কম্পোজ, ছবি তোলা, ফটোকপিসহ বিভিন্ন কাজ করেন। কিন্তু বিদ্যুতের নাজহাল অবস্থা হওয়ায় তার কম্পোজের মেশিন নষ্ট হয়েছে। পরে ঠিক করে নিয়েছেন তিনি। তার গ্রাহককে সঠিকভাবে কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেন না তিনি। ওয়াপদা বাজারের মফিজুল ইসলাম জানায় সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আর আর আসার কোনো কবর থাকে না। রাতে গরমে ঘুমানো কঠিন। বিদ্যুতের পাখাও ঘোরে না ঠিকমতো। গ্রামের ঘটনা আরও অত্যন্ত নাজুক বলেও অবিযোগ তার।
গ্রাহকরা আরও জানায় প্রতি সন্ধ্যায় লোডশেডিং যেনো বিদ্যুৎ অফিসের রুটিন করা। কখন আসবে তার ঠিক নেই। তারপর রাত ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে আবারো লোডশেডিং। কোনদিন গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলেও রাতের বাকি সময় আর দেখা মেলে না। এদিকে সামান্য ঝড়বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে সময় কাটে। আকাশে মেঘ দেখা দিলে ও বিদ্যুত চমকালেও একই ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা ঘটছে শহরেও। মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহকারি অথ্যাপক ঠুটাপাইকরের মনোয়ার হোসেন সিদ্দিকী জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ দায়সারা কারণ দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যান। প্রায় দৈনন্দিন এমনটা ঘটে। আমরা খুবই অসন্তুষ্ট তাদের এ আচরনে। ঠিক একই রকম কথা বলেন আরো অনেক গ্রাহক। ভোগান্তি বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুতের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার আতিকুর রহমান জানান, লোডশেডিং জাতীয় গ্রিড থেকেই দেয়া হচ্ছে। আর অতিরিক্ত গরমের কারণে সারাদেশে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় লো-ভোল্টেজ। তবে কবে নাগাদ তা স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলে অথবা গরম কমে ঠান্ডা আসলে লো ভোল্টেজ কমতে পারে।