নোয়াখালীর সেনবাগে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এক বখাটে ধর্ষক যুবক মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ছেরাজুল হক প্রকাশ মামুন (৩০) উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নর পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের মিঝি বাড়ির এনাম হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন দিনমজুর। ওই স্কুলছাত্রীটি বর্তমানে ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে অভিযুক্ত ধর্ষক মামুনকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে সেনবাগ থানার এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছেলাজুল হক প্রকাশ মামুন (৩০) ও কামাল হোসেন প্রকাশ সাদ্দাম (২৫) কে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬ তারিখ ১২/০৯/২১ ইং।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ বছরের (১৮ জুলাই) প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে মামুন ও তার সহযোগী কামাল হোসেন সাদ্দাম জোরপূর্বক মুখ চেপে একটি ঘরের পিছনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ১২ সপ্তাহের অস্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এপর ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা রোববার সকালে সেনবাগ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ১নং আসামি ধর্ষককে মামুনকে গ্রেফতার করে। দুপুরে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ ও ধর্ষক মামুকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করে সেনবাগ থানা পুলিশ।
সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা স্কুৃলছাত্রীকে ধর্ষণ ও আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে নারীও নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এবং ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ছাড়াও অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।