কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এবারের বন্যায় আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রথম দফা বন্যার পর কৃষকরা পুরোদমে জমি চাষ করে আমন ক্ষেত রোপন করেন। দ্বিতীয় দফা বন্যায় আমন ক্ষেত পানির নিচে প্রায় ১৫ দিন তলিয়ে থাকায় এতে করে সম্পূর্ণ রুপে বিনষ্ট হয়ে যায়। উপজেলার পেদিখাওয়া, মাইলডাঙ্গা, কাউয়া পাড়া, চাচলার বিল, পাত্রখাতা, মাঝি পাড়া, মাটিয়ালের ছড়া, শৈইল ধুকরী, কোদাল ধোয়া, কয়ার পাড়া, এলাকার আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। পুটিমারী এলাকার কৃষক আবু বাদশা (৭০) জানান, প্রথম দফা বন্যার পর ঋণ করে ৪ বিঘা জমিতে আমন ক্ষেত রোপন করেছিলাম। দ্বিতীয় দফা বন্যায় আমন ক্ষেত সম্পূর্ণরুপে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে এবং পরিবারের ভরন পোষন নিয়ে উভয় সংকটে রয়েছি। রাজার ভিটা এলাকার আবুল হোসেন (৬৫) জানান, ধার-দেনা করে ৩ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপন করেছিলাম। বন্যায় আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ রুপে ক্ষতি হয়েছে। সামনের দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করব তানিয়ে দু’চিন্তায় আছি। উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষান দাস জানান, এবারে উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ মাত্র ছিল ৮ হাজার ২শ হেক্টর। বন্যায় পূর্বে রোপন করা হয়েছিল ৭ হাজার ২শ ৫৫ হেক্টর জমিতে। এবারের দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৩ হাজার ২শ ১৮ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত সম্পূর্ণরুপে বিনষ্ট হয়ে যায়।