ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাদের জেরা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আরিফুর রহমান। এঘটায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন-পাসপোর্ট অফিসের প্রশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আবু সাইদ এবং পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের উপপরিচালক রাজু আহমেদ।
দুদকের এক পরিচালক বলেন, পাসপোর্ট অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিসগুলো দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব অফিসে অলিখিতভাবে দালাল নিয়োগ দিয়ে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলে ঘুষের কারবার।
দেশের ৬৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে কর্মকর্তাদের নামে প্রতি মাসে অন্তত ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে ঘুষ। শুধু তাই নয়, ঘুষের এ টাকা বিভিন্ন হারে ভাগ হয়ে যথাসময়ে পৌঁছে যাচ্ছে প্রধান কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাদের পকেটেও।
দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের করা অনুসন্ধানে প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে জানা যায়-পাসপোর্ট অধিদফতরের আঞ্চলিক অফিসগুলোর ঘুষ বাণিজ্যের এ চিত্র উঠে আসে দুদকের তদন্ত টিমের হাতে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দুদকের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরসহ এর আঞ্চলিক অফিসগুলোর দুর্নীতি সমূলে উৎপাটিত হবে বলে দুদকের বিশ্বাস।
হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবাপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হলেও বাস্তবতা হল, দেশে বর্তমানে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যেন অলৌকিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুদক দেশের সরকারি সেবা খাতের দুর্নীতি-অনিয়মের বিষদ চিত্র উঠে আসে কমিশনের হাতে। দুদক কর্মকর্তারা জানান,আজ তারই অংশ হিসেবে এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক ব্যক্তিদের দুদকে তলব করা হবে।