সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে চিকিৎসক ও আইনজীবীরা যে অর্থ (ফি) নেন, তার রসিদ যেন দেওয়া হয়- সে ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিকিৎসক ও আইনজীবীদের যথাযথভাবে করের আওতায় আনতে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে দুদক।
চিঠিতে আইনজীবী ও চিকিৎসকদের আয়ের ওপর কর আরোপ করতে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মোহাম্মদ ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা চাইছি যে চিকিৎসক এবং আইনজীবী ক্লায়েন্টদের নিকট থেকে যে টাকা গ্রহণ করেন সেবার জন্য, এই ক্ষেত্রে যদি তাদেরকে (ক্লায়েন্ট) অর্থ গ্রহণের রসিদ দেওয়া হয়, তাহলে এটি এনবিআরের হিসাবে আসবে। তখন ট্যাক্স ফাইলটা আপডেট করা সহজ হবে। সরকারের রাজস্ব আয় রাড়বে। এটা কমিশনের একটা অবজারভেশন, এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মূলত দেশের চিকিৎসকরা তাদের চাকরির বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে রোগী দেখে যে আয় করেন, অর্থাৎ রোগীর কাছ থেকে যে ফি নেন তার জন্য রোগীকে কোনো রসিদ দেয় না। একই অবস্থা আইনজীবীদেরও। এর ফলে চিকিৎসক ও আইনজীবীদের আয়কর বিবরণীতে প্রকৃত আয়ের তথ্য আসে কি না, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
জনমত জরিপে সাধারণ মানুষের মতামতঃ তারা জানান,এমবিবিএস বা কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে ১ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ১ মাস আগে সিরিয়াল দিতে হয় রোগী দেখাতে। কোন কোন ডাক্তারকে ৫০০থেকে এক হাজার টাকা ভিজিটও দিতে হয়। আর পরীক্ষার তো শেষ নাই। অপরদিকে বাদী-বিবাদীর মামলার ধার্য্য তারিখে দুপক্ষের আইনজীবীদের দিতে হয় তাদের চাহিদার অর্থ। ডাক্তার-আইনজীবী কেউ কোন মানি রিসিভ দেয় না। জনগণ তাদের দেয়া টাকার রিসিভ দাবি করেন। সেবা নেয়া ব্যক্তিরা বলেন, প্রত্যেক ডাক্তার এবং আইনজীবীর ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টোলজিক বিভাগের চেয়ারম্যান ডা.ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর সেল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আইনমন্ত্রী মো.আনিসুল হকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তাঁর বক্তব্য চেয়ে এসএমএসে, মাননীয় আইনমন্ত্রী। আইনজীবীদের আয়করের আওতায় আনতে দুদক/এনবিআর একমত হয়েছেন। আপনার মতামত জানাবেন। তিনি কোন জবাব দেননি।