হাওড়ের জলরাশি যে কাওকে রোমাঞ্চিত করবে। প্রতি বছর পর্যটকরা মিটামইন ও ইটনা হাওড়ের সুন্দর্য দেখতে আসেন। এবার হাওড়ের সুন্দর্যের সংগে দেখা মিলবে অভিজাত এক রিসোর্টের। গতকাল শনিবার রিসোর্টটি পর্যটকদের জন্য খোলে দেওয়া হচ্ছে। মিটামইন উপজেলার ঘাগরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের ত্রিশ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে এই রিসোর্টটি। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। রিসোর্টে ১০টি কটেজ রয়েছে। ৪০টি পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারবেন। স্থানীয় সূত্র ও বিভিন্ন সূত্রমতে জানাযায় এতদিন কিশোরগঞ্জ শহর থেকে হাওড় ঘুরতে হতো ভ্রমণ পিপাসুদের। দিন শেষে আবার দিনে চলে যেতে হতো। পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল না। এসব কথা মাথায় রেখে মিটামইন উপজেলা ঘাগরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ৩০ একর জায়গায় দ্বীপের মতো গড়ে তোলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট। রিসোর্টটিতে রেষ্টোরেন্ট, পার্টি সেন্টার ও শিশুদের খেলার জন্য খেলার জোন করা হয়েছে। উপরে থেকে হাওড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য বানানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। বিশাল আয়তনে পুকুরে রাখা হয়েছে বোট। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগানো হয়েছে, রিসোর্টের চারপাশে। এসব কিছু নির্মাণ করা হয়েছে, গত ৮ মাস ধরে। শুক্রবার রিসোর্টটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। চলতি মাস থেকে পর্যটকরা এইখানে থাকতে পারছেন। বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছে, অনেক বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, একদিনের জন্য ভাড়ার যেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা মধ্যবিত্বের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। অভিজাত পরিবারগুলোর পক্ষেই কেবল রিসোর্টে রাত্রিযাপন করা সম্ভব। মধ্যবিত্তদের বিষয়টি মাথায় রাখা হয় নি। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সংগে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে রিসোর্টে এক রাত থাকার জন্য সর্বনি¤œ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ২৮ হাজার টাকা। তবে যাদের সামর্থ আছে তাদের জন্য নিশ^ন্দেহে এই রিসোর্ট হাওড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের মাধ্যম। বর্ষায় পানির উপর রোদ বৃষ্টির খেলা, সূর্যোদয়, সূর্যাস্থ দেখা, ডিঙ্গি নৌকা, ট্রলার কিংবা স্পিড বোর্ডের ভ্রমণ দেখতে পারেন। মিটামইন উপজেলার চারপাশে আরো কিন্তু হাওড় ব্যাষ্টিত উপজেলা রয়েছে। সেগুলো হলো নিকলী, অষ্ট্রগ্রাম, ইটনা। রিসোর্টে থেকে হাওড়গুলো ঘুরে দেখা যাবে। তিনটি হাওড়ে ৫-৬ মাস পানি থাকে। বাকি সময় পানি না থাকলেও জায়গাগুলো খুব সুন্দর। রিসোর্টে ১০টি কটেজ রয়েছে। ১০টি কটেজে ৪০টি পরিবার একসঙ্গে থাকতে পারবেন। তাদের মধ্যে রিয়াদ আহমেদ যায়যায় দিনকে সত্যি অসাধারণ ও দৃষ্টিনন্দন। খুব ভালো লাগলো। প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এবিএম শাহরিয়ার যায়যায় দিনকে বলেন, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আমরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ রিসোর্টটি গড়ে তুলেছি। তিন তারকা মানের সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। রোম কোয়ালিটি ও ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় নিয়ে ভাড়া ও প্যাকেজ নির্ধারন করা হয়েছে। যে কোন পরিবার নিরাপতে অবকাশ যাপন করতে পারবেন। মিটামইন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিএস মহান প্রতিনিধিকে বলেন, হাওড় অঞ্চলে পর্যটকদের জন্য এই রিসোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আস্তে আস্তে পর্যটক বাড়বে। এখন হাওড়ের পর্যটকদের ভীর অনেক বলে উল্লেখ করেন।