আজ ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ বছর চাকুরি জীবন শেষে অবসরে গেছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আনিছুর রহমান।
মোঃ আনিছুর রহমান ১৯৮৫ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করে বিভিন্ন জেলা ও ইউনিটে সুনামের সহিত ৩৬ বছর চাকুরি করেন। ঘাটাইল থানায় প্রায় ১ বছর কর্মরত থেকে ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ বৃহস্পতিবার তিনি অবসরে যান।
একজন যুবক তার যৌবন বয়সে পুলিশ বাহিনীতে আসে। দেশের সেবায়, মানবতার সেবায় তার সমগ্র যৌবন ব্যয় হয়। অবসরে যাওয়ার সময় এক মুখ পাঁকা দাড়ি ও কিছু স্মৃতি নিয়ে বিষন্ন মনে বিদায় নেয়।
তার এই বিদায় অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানা পুলিশ। রঙিন সাজে সজ্জিত গাড়িতে ওসির আসনে বসিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আনিছুর রহমানকে। চাকরীর শেষ সময়ে যে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আনিছুর রহমান শেষ সময়ে সেই গাড়িতেই তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার নিজ বাড়ি ময়মনসিংহে।
এর আগে, থানার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে তার হাতে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন গোপালপুর সার্কেল কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা এবং ঘাটাইল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম।
বিদায়ী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, ঘাটাইল থানায় আমি যোগদানের পর থেকে কনস্টেবল আনিছুর রহমানের ব্যাপারে কোনো রকম অভিযোগ পাইনি। সে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি দোয়া করি আল্লাহ তার অবসর জীবনকে সুখি করুক।
গোপালপুর সার্কেল কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা বলেন, কনস্টেবল আনিছুর রহমানের ৩৬ বছর চাকুরি জীবন সম্পর্কে জেনে এতটুকু বুঝতে পেরেছি যে, তিনি চাকুরি জীবনে যেমন সফল হয়েছেন। তেমনি তিনি একজন বাবা হিসেবেও সফল হয়েছেন। কনস্টেবল আনিছুর রহমান তার তিন ছেলেকেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার এক ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে রয়েছেন। আমার বিশ্বাস যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান হিসেবে সেও সুনামের সহিত তার দায়িত্ব পালন করে তার বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে।
এ সময় আবেগে আপ্লূত হয়ে কনস্টেবল আনিসুর রহমান বলেন, জীবনে কখনো কল্পনাও করিনি এমন সম্মান নিয়ে অবসরে যাব। ব্যতিক্রমী বিদায় অনুষ্ঠান দেখে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। ওসি স্যার ও সার্কেল স্যারসহ সকল সহকর্মীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কনস্টেবল আনিসুর রহমান তার বক্তব্যের শেষে তার সহকর্মীসহ থানার সকল অফিসারকে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ার দাওয়াত দেন।