টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী ফাজিলহাটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামবসীর যৌথ উদ্যোগে উপজেলার এলেংজানী নদীতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকাবাইচ দেখতে সকল বয়সী হাজারো নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। নৌকাবাইচে অংশ নেয়া নৌকার মাঝি-মাল্লাদের হৈ-হুল্লোর ও দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে নদীর দুই পার।
নদী আর নৌকার সাথে গ্রাম-বাংলার মানুষের মিতালী দীর্ঘকাল আগে থেকেই। একটা সময় নৌকা বাইচ ছিল গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের অন্যতম অংশ। আধুনিক নাগরিক সভ্যতার কারণে প্রায়ই কমে যাচ্ছে নৌকাবাইচের আয়োজন। হারানো ঐতিহ্য ফিড়িয়ে আনতে এবং করোনা-বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত মানুষের বিনোদনের জন্য শনিবার দিনব্যাপী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিল হাটি ইউনিয়নের এলেংজানী নদীতে আয়োজন করা হয় নৌকাবাইচের। আশপাশের কয়েক গ্রাম দূর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের কয়েক হাজার মানুষ নৌকাবাইচ দেখতে আসেন। কেউ কেউ নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে বিলের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে উপভোগ করেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সুসজ্জিত নৌকা আর বিভিন্ন রংয়ের বাহারি পোশাক পড়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মাঝিমাল্লারা। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে আর বৈঠার ছলাত-ছলাত শব্দ যেন একাকার হয়ে যায়। এ ধরনের আয়োজনে খুশী দর্শনার্থী ও প্রতিযোগীরা। দীর্ঘদিন গৃহবন্ধি থাকা মানুষের নির্মল আনন্দ ও বিনোদনের জন্যই এমন আয়োজন। আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে নৌকাবাইচ আয়োজনের কথা জানালেন আয়োজকরা।
প্রতিযোগিতায় শতাধিক ছোট-বড় নৌকা অংশ নেয়।
আয়োজন কমিটির সভাপতি ও দেলদুয়ার উপজেলা জাতীয় পার্টি শাখার সভাপতি মো. সবদের আলী মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির উপস্থিত ছিলেন দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান মো.মাহমুদুল হাসান মারুফ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সস্পাদক লায়ন এম শিবলী সাদিক, সহ-সভাপতি এস প্রতাপ মুকুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্ধ।
শেষে বিজয়ী নৌকার মাঝি-মাল্লাদের হাতে আর্কষনীয় পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।