ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের কয়েক সদস্য নাম জালিয়াতী ও অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুদানের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘প্রথম দফায় যারা অনুদান পেয়েছে ২য় দফায় তারা পাবেনা’ মর্মে শর্ত থাকলেও প্রেসক্লাবের ওই সদস্যরা বিষয়টি আড়াঁল করতে এই অপকৌশল করেছেন বলে অভিযোগে জানাগেছে। অপর দিকে অনেক সাংবাদিকের আবেদন শুপারিশ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসকের কাছে গোপন করে এ জালিয়াতীর বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুদ্বু সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট, পিআইবি মহাপরিচালক ও জেলা তথ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছে। তারা ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার ও অর্থলোভীদের হাত থেকে প্রেসক্লাবকে মুক্ত করার দাবী জানিয়েছে।
জানাগেছে, করোনা মহামারির শুরুতে সারা দেশের সাংবাদিকদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের মাধ্যমে জনপ্রতি ১০হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। সে অনুযায়ী প্রথম দফায় গত বছর ২০২০ সালে জেলার ২০জন সাংবাদিক অনুদানের চেক পান। করোনার প্রভাব কমে না আসায় এবার ২০২১সালে একই ভাবে অনুদান প্রদানের ঘোষনা করা হলেও এবার শর্ত ছিল যারা পূর্বে অনুদান ২য় দফায় তাদের নাম দেয়া যাবেনা। তাছাড়াও করোনা কালে চাকুরিচ্যুত, ১বছরে বেতন পাননা বা চাকুরি আছে বেতন নাই এবং ইতঃপূর্বে ট্রাষ্টের অনুদান পেয়েছেন কিনা পেলে তার বিস্তারিত বিবরন লেখার শর্ত উল্লেখ থাকলেও সে সম্পর্কে সুষ্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করতে হবে উল্লেখ রয়েছে। থাকলেও সে সম্পর্কে ওই সাংবাদিকরা মিথ্যা-মনগড়া তথ্য দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুদানের আবেদন ফর্মের শর্তানুযায়ী ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি ৭ জনের ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের ৮ জনের নামের তালিকা দিলে জেলা প্রশাসক সেই তালিকাই সুপারিশ করে ঢাকায় পাঠালে মোট ১৭জন সাংবাদিকের নামে অনুদানের চেক পাশ হয়ে আসে। ১২আগষ্ট বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক হস্থান্তর কালে প্রেসক্লাবের এই ৫/৬জন সাংবাদিক নামপাল্টে ২য় দফায় অনুদান চেক হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দ্রুতো প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্ত দত্ত ও ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক মানিক রায় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে চেকগুলো নিয়ে চলে আসেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন
এ ভাবে অনুদানের অর্থহাতিয়ে নেয়াদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দুলাল সাহা (দালাল সাহা), ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মানিক রায় (মানিক কুমার শীল ), সহসাধারন সম্পাদক কেএম সবুজ (মোঃ সবুর খান), সদস্য তরুন কুমার সরকার (তরুন সরকার) ও মোঃ জহিরুল ইসলাম জলিলের (আব্দুল জলিল সরদার) ছদ্ম নাম উল্লেখ করেছেন।
এ ঝালকাঠি ব্যাপারে শুপারিশ কমিটির সদস্য সচিব জেলা তথ্য কর্মকর্তা আহসান কবির জানায়, বিশেষ অনুদানের তালিকা বা চেক প্রদান সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী জানান, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যে তালিকা দিয়েছে সেটাই পাঠানো হয়েছে। এধরনের কিছু হয়ে থাকলে বিষযটি দুঃখ জনক।
এ ঘটনায় পিআইবির মহপরিচালক ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের সদস্য সচিব জাফর ওয়াজেদ জানিয়েছেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের টাকা যদি কেহ অসত্য তথ্য দিয়ে নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।