কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রুপান্তর জেভি কনষ্ট্রাকশনের ঠিকাদারের গাফিলাতির কারণে রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ মিটার পাকা সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় শত শত খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, রিক্সা, অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, এম্বুলেন্স, ডে-নাইট কোচসহ সবধরনের যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জানা যায়, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এডিবি ও জিওবি’র অর্থায়নে রাজারহাট-সেলিমনগর (খেদাবাগ) ৮কিলোমিটার সড়কের প্রায় সাড়ে ৮কোটি টাকার সংস্কার ও বর্ধিতকরণ কাজের টেন্ডার প্রাপ্ত হয় রুপান্তর জেভি কনষ্ট্রাকশন। এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে গত বছরের শেষের দিকে সংস্কারের কাজ শুরু করে প্রায় ৭ কি:মি: সড়কটির কার্পেটিং এর কাজ শেষ করে। পরে রাজারহাট বাজার থেকে ধলগাছ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ মিটার সড়কের সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকে। অথচ ওই সড়কের সংস্কারের কাজ গত ৪ এপ্রিল ২০২১ইং শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রুপান্তর জেবি কনষ্ট্রাকশন ঠিকাদারের গাফিলাতির কারণে সড়কটির খানা-খন্দে এমনকি লেবেল করে ড্রেসিং পর্যন্ত করা হয়নি। এতে সড়কটির ১৬০০মিটারে শত শত খানা-খন্দ হওয়ায় যান চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হয় চালক ও যাত্রীদের। বিশেষ করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী ও জনসাধারণকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে হয়। রাস্তাটি দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। পাকা রাস্তার মাঝে কাদার ছড়াছড়ি। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। যানবাহনের চালক যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রাজারহাট বাজার থেকে সেলিমনগর (খেদাবাগ) পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কটি খুবেই জনগুরুত্বপূর্ণ। রুপান্তর জেভি কনষ্ট্রাকশনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতির কারণে সড়কটির ১৬০০ মিটার সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া এ সড়কটি উপজেলার ছিনাই ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার সংযোগ সড়ক। সড়কটি দিয়ে চিলমারী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজারহাট উপজেলার শতশত পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করে। এ বিষয়ে রুপান্তর জেভি কনষ্ট্রাকশনের ঠিকাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে নির্দ্দিষ্ট সময়ে সড়কটির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। মাত্র ১৬০০ মিটার সংস্কারের কাজ বাকী রয়েছে। এখন বর্ষার মৌসুমের কারণে সড়কটির ১৬০০ মিটার সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী আবু তাহের মোঃ শফিউল্লাহ্ জানান, ঠিকাদারের পরিবার কোভিড-১৯ পজেটিভ হওয়ায় বিলম্ব হয়েছে। আশা করছি সড়কটির বাকী অংশটুকুর সংস্কার কাজ অতি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।