করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধের (লকডাউন) চতুর্থ দিনছিল সোমবার। বিধিনিষেধে রিকশা ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে চিত্রছিল ভিন্ন। কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় ৬ টি স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবুও বেড়েছে মানুষের চলাচল, তেমনই বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। চেকপোস্টে রিকশা-যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবার মোবাইল কোট করে জরিমানা ও করা হচ্ছে। গত ৪ দিনে কালীগঞ্জে লগডাউন পালন হচ্ছে ঢিলেঢালা ভাবে। ব্যবসায়িরা দোকানের সামনে বসে গোপনে মামলামাল বিক্রি করছে।
কালীগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় ঘুরে দেখে গেছে, প্রায় সবগুলো সড়কেই আগের তিন দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহন,ইজিবাইক, রিকশা, নছিমন,করিমন, আলমসাধু, সিএনজি ও মানুষের চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। চেকপোস্ট গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে তৎপরতা ছিল সেটা তেমন দেখা যায়নি।
পুলিশের হাইওয়ে থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন জানান, গত ৩ দিনে অবৈধভাবে যান চালানোর কারণে ২৭ টি মামলা ও আটক করা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, শহরের গান্না সড়ক, বিহারী মোড়, বৈশাখি মোড়, কালীবাড়ির মোড়,ম্ইেন বাসষ্টান্ড, ও মোবাইল টিমসহ ৬ টি স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। চেকপোষ্টে পুলিশ তল্লাশি করছে। কিছুকিছু চেকপোস্টে অপ্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদেরকে জিঙ্গাসা করা হচ্ছে। গাড়ির নামে মামলা হয়েছে, গুনতে হয়েছে জরিমানা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামিমা শিরিন লুবনা বলেন, প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জন করে করোনা রোগি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গুরুতর করোনা রোগির জন্য রাখা হয়েছে ১৭ টি বেড। প্রতিদিন ৫০০ থেকে সাড়ে ৫,শ করোনার ভ্যাকসিন গ্রহন করছেন সাধারন মানুষ। এ ছাড়া এক দিনে টিকা গ্রহন করেছেন ১২ জন মানুষ। করোনার টিকা গ্রহনের জন্য সাধারন মানুষ অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কালীগঞ্জ হাসপাতালে গত মানে ২ জন ডাক্তার, নার্সসহ ১২ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। নতুন করে নার্স ও ওয়ার্ডবয়সহ ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
কালীগঞ্জে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার পাশাপাশি মোটর সাইকেলের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মটর সাইকেলে ২/৩ জন করে চলাচল করছে। এদিকে, বেশকিছু আবাসিক এলাকা ও অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, মাস্ক ব্যবহার না করেই অপ্রয়োজনে অধিকাংশ মানুষ চলাফেরা করছে। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পরেনি। এসব এলাকার অলিগলিতে প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানই খোলা রাখা হয়েছে। প্রায় সব এলাকাতেই বিধিনিষেধ মানতে এমন অনীহা দেখা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে জনসমাগম। আর সন্ধ্যা থেকে পাড়া মহল্লায় দূরত্ব না মেনে চলে অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা।