নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামে সবিধা রানী দাস (৩৫) নামে এক গৃহবধূর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতের স্বামী খোকন চন্দ্র দাসকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। সোমবার (৫জুলাই) সকালে তাকে উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। খোকন ওই গ্রামের যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের পুত্র। পুলিশ তাকে মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।
জানাগেছে, লক্ষীপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের রামজমাদার বাড়ির রনজিত চন্দ্র দাসের মেয়ে সবিধা রানী দাসে সঙ্গে ৮মাস আগে সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের খোকন চন্দ্র দাসের হিন্দু ধর্মীয় বিধানমতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। রোববার বিকেলে ফের উভয়ের মধ্যে ঝড়গার জেরে সবিধা রানী বিষপ্রানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে খবর পেয়ে ফেনী থানা পুলিশ সবিধার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা রনজিৎ চন্দ্র দাস তার কন্যা সবিধাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা অভিযোগ এনে সবিধার স্বামী খোকন চন্দ্র দাসকে আসামি সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩ তারিখ ০৫/০৭/২১ইং। মামলা দায়েরের পরপরই সেনবাগ থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে খোকনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, গ্রেফতারকৃত খোকনকে মঙ্গলবার নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। এবং এ ঘটনায় ময়ণাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।